অবশেষে নিউজিল্যান্ডের সেই ভয়ঙ্কর খুনি ট্যারেন্টের ফাঁসির রায় ঘোষনা করা হয়েছে, সেই সাথে ঘোষনা করা হয়েছে উক্ত ফাঁসির রায় কার্যকর হবে সকল শহিদদের পরিবারের উপস্থিতিতে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লি হত্যা মামলার আসামি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আগামী ২৪ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনিয়ে ফাঁসি কার্যকরের জন্য ২৪ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন- আলহামদুলিল্লাহ্।''
একইরকম তথ্য
২১ আগস্ট একটি অনলাইন পোর্টালেও প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন
এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
প্রথমত: ট্যারেন্টের ফাঁসির রায় হয়েছে এবং তা নিহতদের পরিবারের উপস্থিতিতে কার্যকর হবে এই মর্মে কোন সংবাদ আন্তর্জাতিক কোন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। গতকাল রয়টার্সে প্রকাশিত '
'New Zealand court set to sentence killer in Christchurch mosque massacre'' শীর্ষক খবর অনুসারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মানুষ হত্যা মামলার আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট এর সাজার শুনানি ২৪ আগস্ট শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য ব্রেন্টন ট্যারান্ট ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ থেকেই বন্দী। রয়টার্সের খবরে বলা হয় ''A New Zealand court will begin hearings on Monday on the sentencing of a suspected white supremacist accused of killing 51 Muslim worshippers in a massacre that shocked the world and prompted a global campaign to stamp out online hate.'' অর্থাৎ, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লি হত্যা মামলার আসামি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের সাজার শুনানি আগামী ২৪ আগস্ট সোমবার নিউজিল্যান্ডের একটি কোর্টে শুরু হবে। সাজা কী হবে তা ওই দিন জানাবেন বিচারক। এর আগে গত মার্চে কোর্টে এক
শুনানীতে ট্যারেন্ট নিজের অপরাধ স্বীকার করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্যারেন্টের ১৭ বছরের নন-প্যারোলসহ যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে এবং বিচারক চাইলে যাবজ্জীবন কারাভোগোর পরও ট্যারেন্টের মুক্তি স্থায়ীভাবে নিষেধ করতে পারেন। তাই আগে থেকে 'ফাঁসির রায় হবে' বলার কোনো সুযোগ নেই।
দ্বিতীয়ত: নিউজল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বা ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের
বিধান শুধুমাত্র রাষ্ট্রদ্রোহীতার জন্য প্রযোজ্য। খুন বা অন্য কোনো অপরাধে কারো মৃত্যুদণ্ড হওয়ার বিধান দেশটিতে রহিত হয়েছে ১৯৬১ সালে। ফলে ব্রেন্টনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হতে পারে।
এর আগে গত জুলাই মাসেও ট্যারেন্টের সম্ভাব্য 'মৃত্যুদণ্ড' বিষয়ক ভুয়া খবর ছড়িয়েছিল বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে। এ নিয়ে বুম বাংলাদেশ-এর প্রতিবেদন দেখুন এখানে।