দৈনিক প্রথম আলো আজ বৃহস্পতিবার "ভোট গুনতে বাংলাদেশের সাহায্য চাইল যুক্তরাষ্ট্র" শিরোনামে একটি রম্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওয়েবসাইটে শিরোনামের উপরেই স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে "রম্য রচনা"।
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একই দিন একটি বক্তব্য দেন। নুরুল হুদা বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ৪ থেকে ৫ দিনে ভোট গুনতে পারে না। আমরা ৪ থেকে ৫ মিনিটে গুনে ফেলি। যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে।"
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রম্য রচনাটি প্রকাশ করেছে প্রথম আলো।
ওয়েবসাইটে শিরোনামের উপরে "রম্য রচনা" লিখে দেয়ার পাশাপাশি ফেসবুকে প্রতিবেদনটি পোস্ট করার সময় প্রথম আলোর পেইজে ক্যাপশন আকারে একটি ডিসক্লেইমার দেয়া হয়েছে। দেখুন নিচের স্ক্রিনশট--
কিছু অনলাইন পোর্টাল প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি হুবহু কপিপেস্ট করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে কোনো ধরনের ডিসক্লেইমার এবং মূল প্রকাশকারীর ক্রেডিটি দেয়া ছাড়াই। অর্থাৎ, এসব ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি কেউ পড়লে বুঝার সুযোগ নেই সেটির উৎসব কোথায়, এবং আদৌ এটি কোনো সত্য খবর নাকি, "রম্য রচনা"।
দেখুন তেমন দুটি অনলাইন পোর্টালের আর্কাইভ করা প্রতিবেদনের লিংক এখানে ও এখানে।
স্ক্রিনশট দেখুন নিচে--
আবার প্রথম আলোর পেইজ ছাড়া অন্য যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিবেদনটি শেয়ার করছেন তারা ডিসক্লেইমারটি আলাদাভাবে দিচ্ছেন না তাদের পোস্টে।
এতে যেসব পাঠক শুধু খবরটির শিরোনাম দেখবেন, ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিবেদনটি পড়বেন না, তাদের বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। ফলে বুম বাংলাদেশ ফেসবুকে এই প্রতিবেদনটিকে "স্যাটায়ার" ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করছে।