অন্যান্য বছরের মত ২০২২ সালও ছিল ঘটনাবহুল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বছর জুড়ে নানান ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে বছরটিকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত বড় আন্তর্জাতিক সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে শুরু। পাশাপাশি আরেকটি বড় ঘটনা ছিল শ্রীলংকার তীব্র অর্থনৈতিক সংকট। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটির নজিরবিহীন এই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট উদ্বেগের কারণ হয়েছিল পার্শ্ববর্তী দেশগুলোরও। এরপরেই জাতীয় পরিসরে ২০২২ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেটে অতিভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক ও স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বড় মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। মাঝে বাংলাদেশের প্রাধানমন্ত্রীর তাৎপর্যপূর্ণ ভারত সফরসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘটে নানান ঘটনা। এসব ঘটনার মধ্যে সংঘাত ও সহিংসতার মত ঘটনা যেমন আছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বড় সভা-সমাবেশও আছে। তবে বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের অর্জনের খাতাও ছিলো ভারি। গেল বছর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। প্রায় দুই যুগের পরিকল্পনার ফসল এই সেতুটি অর্থনৈতিক, আঞ্চলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিসরেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বছরটি শেষ হয়েছে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের মাঠের লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে।
অনলাইনে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধে ফেসবুকের থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং পার্টনার হিসেবে ২০২০ সাল থেকে কাজ করে আসছে বুম বাংলাদেশ। বিদায়ী বছরও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এই সময়ে বুম বাংলাদেশ অনলাইনে ছড়ানো বিপুল সংখ্যক ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ও খবর চিহ্নিত করেছে। এসব ভুয়া তথ্যের যেমন বড় অংশ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে, তেমন ভুয়া তথ্যে অস্তিত্ব ছিল মূলধারার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও। ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে গবেষণায় দেখিয়েছে কোনো গণমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রচারিত বা প্রকাশিত হলে ২২ শতাংশ পাঠক তাৎক্ষণিকভাবে তা বুঝতে পারেন না। এই প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরছি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বুম বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মধ্যে ফ্যাক্ট চেকারদের দৃষ্টিতে 'শীর্ষ ১০টি ফ্যাক্ট চেক স্টোরি'।
১. ভুয়া ওয়েবসাইটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর বরাত দিয়ে ভুয়া খবর প্রচার
২০২২ সালে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুমের বিষয়ে সুইডেন থেকে পরিচালিত একটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরে সামাজিক মাধ্যম একটি খবরের লিংক শেয়ার করে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর বরাতে দাবি করা হয়, তাঁর স্বামীকে নিয়ে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ৮০ শতাংশই ভুল। পরে বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে, বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা তাঁর বরাতে প্রকাশিত এই খবরটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মূলত সূত্রহীন ভাবে একটি ভুয়া অনলাইন পোর্টাল থেকে খবরটি প্রচার করা হয়। বুম বাংলাদেশকে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা নিজেই তাঁর বরাতে প্রচারিত খবরটিকে অসত্য বলে নিশ্চিত করেন। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
২. ভিডিওর ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী নন বরং শ্রমিক নেতা
বিদায়ী বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বড় ঘটনা ছিল শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ঘটা অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকট থেকে জনগণের মধ্যে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে দেশটির প্রেসিডেন্টের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। এই বিক্ষোভ চলাকালে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয় শ্রীলঙ্কার তথ্যমন্ত্রীকে লাঞ্ছিত করছে দেশটির বিক্ষোভকারীরা। ভিডিওতে দেখা যায় এক ব্যক্তি অসহায় অবস্থায় রাস্তায় ঘুরছে এবং শেষ দিকে একটি স্থানে বসে পড়েছে। বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে ওই ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার তথ্যমন্ত্রী নন বরং মাহিন্দা কাহান্দাগামা নামের ঐ ব্যক্তি দেশটির সরকার সমর্থিত একটি ট্রেড ইউনিয়নের নেতা। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৩. বন্যা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ি পরিবর্তনের দাবিটি বিভ্রান্তিকর
গত বছরের বড় একটি ঘটনা ছিল সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি। উজান থেকে আসা পানি ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সমগ্র দেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বন্যা দুর্গত এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। এ সময় একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে, দাবি করা হয় বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ সফরে ঘন্টার ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ি বদলে গিয়েছে। কোলাজ ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে দুই ধরণের শাড়ি পরিহিত দেখা যায়। বুম বাংলাদেশ যাচাই করে নিশ্চিত হয় কোলাজ ছবিটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা। একটি ছবি সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের হলেও অন্যটি ২০১৭ সালের সুনামগঞ্জের সফরের সময় ধারণ করা। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৪. সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত
গেল বছরে মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনাটি ছিল অন্যতম। ঘটনাটি ঘটে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগ মুহুর্তে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সীতাকুণ্ডের একটি কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। বুম বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করলে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার তথ্যটি অসত্য বলে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পূর্ব নির্ধারিত সময়েই হবে এবং এর সাথে সীতাকুণ্ডের অগ্নি দুর্ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৫. খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন মনমোহন সিং?
২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে গেলে তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ। এই আবহে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়, ২০০৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভারত সফরকালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। পরে বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে ভাইরাল ভিডিওটি মূলত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অভ্যর্থনা জানোনোর। সে সময়ে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ই আহমেদ ও পররাষ্ট্রসচিব শ্যামশরণ। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৬. শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ দ্বিতীয় বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেনি
বছরের মাঝে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে জাতিসংঘ বিশ্বের দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা সরকার প্রধানকে সেরা ক্যাটাগরিতে কোনো পুরস্কার প্রদান করে না। অর্থাৎ এই তথ্যটিই ভিত্তিহীন। এধরনের তথ্য অতীতেও বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে দেখা গেছে। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৭. ভিডিওটি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর অভিযানের নয়
বিদায়ী বছরের অক্টোবর মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে নতুন একটি সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতার খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে। এর প্রেক্ষিতেই সংগঠনের সদস্যদের ধরতে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালায় বাংলাদেশের যৌথবাহিনী। এই অভিযানকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দাবি করা হয়, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর অভিযানের ফুটেজ। বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে ভিডিওটি আদতে বাংলাদেশের নয় বরং মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেনি আর্মির সামরিক অনুশীলনের। থাইল্যান্ডে বসবাসরত কারেনি আর্মির একজন সদস্য ব্যক্তিগত ভাবে বুম বাংলাদেশেকে জানায় ভিডিওটি কারেনি আর্মির নিয়মিত সামরিক অনুশীলনের। তথ্যটি নিশ্চিত করে মিয়ানমারে অভ্যন্তরে অবস্থান করা আরও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৮. বিশ্ব ইজতেমার সময়ের ভিডিওকে খুলনায় বিএনপির সমাবেশের বলে প্রচার
চলতি বছর দেশের ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করে বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি। খুলনায় দলটির সমাবেশের পর একটি যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেনের ভিডিও শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হয় খুলনা মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এভাবেই ট্রেনে চেপে হাজির হয়েছিলেন। বুম বাংলাদেশ পরে যাচাই করে দেখে ভিডিওটি মূলত ২০১৯ সালে গাজীপুরের টঙ্গীতে মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় সমাবেশ খ্যাত বিশ্ব ইজতেমা চলাকালে ধারণ করা। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বিপুল মানুষের উপস্থিতির কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও ভিডিওটি ছিলো ভিন্ন ঘটনার। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
৯. রাজনৈতিক সংঘাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা ব্যক্তি ছাত্রলীগ নেতা?
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বন্দুক হাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা এক ব্যক্তিকে অংশ নিতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা ঐ ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা। বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে দাবিটি সঠিক নয়। ছবির ওই ব্যক্তি ছাত্রলীগ নেতা নন বরং মাহিদুর রহমান নামের এক আনসার সদস্য। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
১০. মেসির ছবিসহ মুদ্রা চালু করছে আর্জেন্টিনা
নানা নাটকীয়তার পর কাতার বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে মেসির ছবি যুক্ত করে আর্জেন্টিনার মুদ্রা পেসোর এক হাজার মূল্যমানের নোট বাজারে ছেড়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খবরটির বিভ্রান্তিকরভাবে প্রকাশিত হয় কিছু মূলধারার গণমাধ্যমেও। এর প্রেক্ষিতেই বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে দাবিটি সঠিক নয়। আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকো সেন্ট্রাল ডি লা রিপাবলিকা আর্জেন্টিনার (বিসিআরএ) সাথে যোগাযোগ করা হলে, তাদের প্রেস সেক্টরের পক্ষ থেকে এ ধরণের নোট প্রচলন সম্পর্কিত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে নিশ্চিত করা হয়। বুম যোগাযোগ করে আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বিসিআরএ) সিনিয়র ম্যানেজার কমিউনিকেশন ফার্নান্ডো অ্যালোনসোর সাথেও। তিনিও দাবিটি নাকচ করে দেন। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--