HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইল

গণমাধ্যমে ভুয়া খবর ২০২৩: চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভুয়া খবর প্রচার করেছে সময় টিভি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আরটিভি ও বাংলানিউজ।

By - Tausif Akbar | 30 April 2024 4:30 PM GMT

বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবরের পরিসংখ্যান নিয়ে অন্যান্য বছরের মত এবারও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০২৩ সালে গণমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রকাশের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত বছর গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪ টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু পর, ২০২০ সালে দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ২৩ টি ভুয়া খবর চিহ্নিত করে ফেসবুকে তাদেরকে রেটিং করেছে। পরের বছর ২০২১ সালে ১১ টি এবং ২০২২ সালে ১৬ টি ভুয়া খবর চিহ্নিত করেছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার হিসেবে বুম বাংলাদেশ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবর নিয়ে কাজ করেছে, যেসব ভুয়া খবর গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছে। পরিসংখ্যানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবরের হিসেবই উঠে এসেছে, যেসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের পুরো চিত্র ফুটে উঠবে না।

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া ও তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্প সহ ঘটনা বহুল বছর ছিল ২০২৩। গেল বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই জেনারেটেড কন্টেন্ট (টেক্সট, ছবি ও ভিডিও) যেমন মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে তেমনি মিসইনফরমেশন প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে। ভুল তথ্যের প্রবাহের ধারায় ভুয়া মিডিয়া ফটোকার্ড বা নিউজ কার্ড এবং এর এডিটেড ভার্সন নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। পাশাপাশি বুম বাংলাদেশ সহ ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক-আইএফসিএন'র সিগনেটরি বাংলাদেশের একাধিক ফ্যাক্ট-চেক সংস্থা প্রথমবারের মতো গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভুয়া খবর প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা পালন করেছে। নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলেও মূলত ২০২৩ সালই ছিল নির্বাচনের বছর। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়েও নানা ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

এছাড়া বিভিন্ন দিবস, উৎসব, ঘটনা আর নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি বিভিন্ন ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রবাহ দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কখনো কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে এসব ভুয়া তথ্য, খবর আকারে দেশীয় গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। আবার কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে গণমাধ্যম থেকেই হয়েছে ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের সূচনা, পরে সেগুলো গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এমনকি হাল আমলের এআই জেনারেটেড ছবি গণমাধ্যমে ডিসক্লেইমার ব্যতীত বা বাস্তব ছবি হিসেবেও প্রচার হতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য সংবাদ মাধ্যমের নীতিমালার সাথে অসামঞ্জস্যতাপূর্ণ, মূলধারার সাংবাদিকতায় তুলনামুলকভাবে কম পরিচিত কিংবা মূলধারার সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত নয় এমন অনলাইন পোর্টালকে এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরিসংখ্যানের সুবিধার্থে এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমে চিহ্নিত ভুল খবর, খবরের সাথে ভুল ছবি প্রকাশ, আংশিক ভুল, মিসিং কনটেক্সট সহ সবগুলোকেই ভুয়া খবর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

২০২৩ সালে গণমাধ্যমে ভুয়া খবরের পরিসংখ্যান:

২০২৩ সালে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪ টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচারিত হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক মূলধারার গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে।

বুম বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, অধিকাংশ ভুয়া খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক খবরকে যাচাই না করে ভিন্ন দেশের স্থানীয়, অখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য নয় এমন গণমাধ্যম থেকে অসতর্কভাবে সংবাদ নেয়ার ফলে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সংবাদের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশের গণমাধ্যমকে অনুসরণ করা, যাচাই না করে তাদের বরাতে সংবাদ প্রকাশ করাও অন্যতম কারণ। এবারে ২০২৩ সালে মূলধারার কোন কোন গণমাধ্যমে কয়টি করে ভুয়া খবর প্রকাশিত হয়েছে তার তালিকা দেখুন নিচে--


টানা চতুর্থবারের মত শীর্ষে সময় টিভি:

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর চতুর্থবারের মত গণমাধ্যমে চিহ্নিত ভুয়া খবরের পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে বুম বাংলাদেশ। আগের তিন বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মত শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম 'সময় টিভি'। গেল বছরে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ ৯ টি ভুয়া খবর প্রচার করে ফেসবুকে বুম বাংলাদেশের রেটিংয়ের শিকার হয়েছে। এছাড়াও ৭ টি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম আরটিভি এবং ৬ টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪।

এছাড়া, ৫ টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। ৪ টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। ৩ টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ২ টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত , মানবকন্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। ১ টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রুপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।


পূর্ববর্তী বছরগুলোর পরিসংখ্যানের চিত্র:

২০২০ সালের মার্চে বুম বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। তাই সে বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া খবর নিয়ে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। বাকি বছরগুলোতে (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া খবরের ডাটা নিয়ে এ সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পাঠকের সুবিধার্থে নিচে পর্যায়ক্রমে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের পরিসংখ্যানের তালিকা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো--

২০২০ সালের পরিসংখ্যান

২০২০ সালে সংখ্যার হিসাবে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে শীর্ষে ছিল সময় টিভি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় টিভির অনলাইন ভার্সনে ন্যূনতম ১০টি ভুয়া কিংবা বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ‌বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কালের কন্ঠ; এই দুটি পত্রিকায় উল্লিখিত সময়ে অন্তত ৮টি করে ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হয়েছে। তৃতীয় স্থানে ছিল দৈনিক যুগান্তর; পত্রিকাটি অন্তত ৭টি ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে ২০২০ সালে। নিচে পুরো পরিসংখ্যানটি দেখুন এক নজরে--


২০২১ সালের পরিসংখ্যান

২০২১ সালে সংখ্যার হিসাবে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে যৌথভাবে শীর্ষে ছিল সময় টিভি, ইনকিলাব ও আরটিভি। পুরো বছরজুড়ে গণমাধ্যম তিনটিতে ন্যূনতম ৩টি ভুয়া খবর প্রকাশিত হয়েছে। বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে ২০২১ সালে গণমাধ্যমে ভুয়া খবর চিহ্নিত হয়েছে আগের বছরের তুলনায় কম। সে বছরের পরিসংখ্যানের একটি তালিকা দেখুন নিচে--


২০২২ সালের পরিসংখ্যান

২০২২ সালে সংখ্যার হিসাবে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে এককভাবে শীর্ষে ছিল সময় টিভি। পুরো বছরজুড়ে গণমাধ্যমটিতে ন্যুনতম ৭ টি ভুয়া খবর প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ‌দৈনিক যুগান্তর; গণমাধ্যমটিতে উল্লিখিত সময়ে অন্তত ৫ টি ভুয়া খবর প্রকাশিত হয়েছে। তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে ছিল জাগো নিউজ, চ্যানেল২৪, আমাদের সময় ও বাংলানিউজ২৪; এই ৪ টি গণমাধ্যম অন্তত ৪টি করে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে ২০২২ সালে। সে বছরে গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া খবরের পরিসংখ্যানের একটি তালিকা দেখুন নিচে--


২০২৩ সালে গণমাধ্যমে চিহ্নিত ৪৪ টি ভুয়া খবর যা ছিল:

২০২৩ সালে গণমাধ্যম প্রচারিত ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত ৪৪ ঘটনা নিচে উল্লেখ করা হলো। এদের মধ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা প্রতিবেদন বিস্তারিতভাবে এবং বাকিগুলোর শিরোনাম হাইপারলিংক সহ উল্লেখ করা হয়েছে।

১. মেসির সতীর্থদের স্বর্ণের আইফোন দেওয়ার বিভ্রান্তিকর দাবি গণমাধ্যমে

লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর, 'বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের সোনার প্রলেপ দেওয়া ৩৫টি আইফোন উপহার দিয়েছেন মেসি' এমন একটি খবর গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। পরে মেসির অফিশিয়াল জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে খবরটিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করা হয়। বুম বাংলাদেশ খবরটি যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেখুন--



 ২. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সুইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নন 

২০২৩ সালের মার্চে ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল মহাসড়কে একটি দুর্ঘটনায় একই বাসে থাকা সুইটি নামের একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সহ কয়েকজন যাত্রী নিহত হন। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমে বলা হয় সুইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। মূলত সুইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং ঢাকার একটি বেসরিকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। বুম বাংলাদেশ খবরটি যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেখুন--



৩. সম্প্রতি বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলেনি কানাডার আদালত 

২০২৩ সালের আগস্টে কানাডার আদালতের একটি রায়ের পরে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় যে, "কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে"। বুম বাংলাদেশ কানাডার সংশ্লিষ্ট রায় যাচাই করে দেখে, রায়ে আদালত বলেছে বিএনপি সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত এমন অভিযোগের যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রমাণ বা কারণ খুঁজে পায়নি কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি দেখুন--



৪. ট্রফিতে পা রাখায় মার্শের বিরুদ্ধে ভারতে এফআইআর দায়েরের খবরটি সঠিক নয়

আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ-২০২৩ এর শিরোপা জয়ের পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার মিচেল মার্শ এর ট্রফির উপর পা রাখা একটি ছবি নিয়ে ভারতে মামলা হয়েছে মর্মে গণমাধ্যমে খবর প্রচার করা হয়। খবরে বলা হয়, পণ্ডিত কেশভ দেব নামক একজন আলোচ্য মামলাটি করেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, পণ্ডিত কেশভ দেব; মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তবে তা এফআইআর কিংবা মামলা হিসেবে পুলিশ কর্তৃক গৃহীত হয়নি। বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি দেখুন--



৫. গায়ক চার্লি পুথ বাংলাদেশে কনসার্ট করতে আসার তথ্যটি সঠিক নয়

বছরের শেষদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মার্কিন গায়ক চার্লি পুথ এর বাংলাদেশে আসার খবর প্রচার করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল বাংলাদেশে তিনি একটি কনসার্টের জন্য আসবেন। তবে বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখে, খবরটি সঠিক নয়। প্রতিবেদনটি দেখুন--



হাইপারলিংক সহ বাকি ৩৯টি ঘটনার ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো-

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভুয়া খবরের উপস্থিতি নিয়ে ২০২০ সাল থেকে প্রকাশিত বুম বাংলাদেশের ৪ টি প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রচারের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর গত তিন বছরের তুলনায় গেল বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ভুয়া খবর প্রতিরোধে কাজ করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি ভুয়া খবরের ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সচেতনতা বাড়ানো ও এক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে বুম বাংলাদেশ। অন্যথায় গণমাধ্যম তার পাঠক ও দর্শকের আস্থা হারাবে। আর ভুল বা ভুয়া খবর প্রকাশিত হলে, গণমাধ্যম ডিসক্লেইমার দিয়ে তা স্বীকার করে নেবে এটা গণমাধ্যমের সার্বজনীন নীতি ও পাঠকের প্রতি তার দায়িত্বশীলতার অংশ। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলোর এই চর্চা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেমন চোখে পড়ে না (কয়েকটি গণমাধ্যম ব্যতীক্রম)। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, ডিসক্লেইমার ব্যতীত সংবাদ সংশোধন করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফেসবুকে রেটিংয়ের মুখে পড়ার কারণে তা সংশোধন করে আবেদনের মাধ্যমে রেটিং থেকে রেহাই পাওয়ার পরই সংবাদটি মুছে ফেলা হচ্ছে। এতে করে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ থেকে যায় বরং সংবাদটি সম্পূর্ণ না মুছে অন্তত ডিসক্লেইমারটি অনলাইনে রেখে দিলে স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠতা আরো বাড়বে। আগামী দিনগুলোতে ভুয়া খবর প্রতিরোধে গণমাধ্যমগুলো আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।

Editor's Note: প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শুরুতে বিদায়ী বছরে গণমাধ্যমে ভুয়া খবরের উপস্থিতি নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে বুম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সহ অনিবার্য কিছু কারণে এই প্রতিবেদন এবার দেরিতে প্রকাশিত হল।

Related Stories