স্কুলগুলোতে ধর্মীয় পোশাক পরার জন্য জবরদস্তি করা নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ পূর্ব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। এক খ্রিস্টান শিক্ষার্থীকে স্কার্ফ পরতে জোর করার ঘটনা আলোচনায় আসার পর গত বুধবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ১৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী যে স্কুলে যেতেন যেখানে নিয়ম ছিল সব শিক্ষার্থীকে স্কার্ফ পরতে হবে। এ ধরনের যে কোনো নিয়ম বাতিলে স্কুলগুলোকে ৩০ দিন সময় দিয়েছে সরকার। যেসব স্কুল এটা মানবে না তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতিমন্ত্রী নাদিম মাকারিম বলেছেন, '
ধর্মীয় পোশাক পরার সিদ্ধান্ত 'একজনের ব্যক্তিগত অধিকার... স্কুল এ সিদ্ধান্ত দিতে পারে না'।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়। ডেইলী স্টার, বিডি নিউজ২৪, যুগান্তর ও জাগো নিউজের খবর দেখুন
এখানে,
এখানে,
এখানে ও
এখানে।
এ সংবাদমাধ্যম গুলোর পাশাপাশি ঢাকা ট্রিবিউনও যথারীতি 'স্কুলে ধর্মীয় পোশাকে বাধ্য করতে নিষেধাজ্ঞা ইন্দোনেশিয়ায়' শিরোনামে খবরটি প্রকাশ করেছে। অনলাইনের প্রতিবেদনটি দেখুন
এখানে।
কিন্তু ঢাকা ট্রিবিউন তাদের ফেসবুক পেজে খবরটি প্রকাশ করেছে 'স্কুলে ধর্মীয় পোশাকে নিষেধাজ্ঞা ইন্দোনেশিয়ায়' এই শিরেোনামে।
এখানে লক্ষ্যণীয়, ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় পোশাক পরতে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। বরং কেউ যদি ধর্মীয় পোশাক না পরতে চায় তাহলে জবরদস্তি করা যাবে না এটাই নতুন জারি করা আদেশে বলা হয়েছে। ফলে ধর্মীয় পোশাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বললে স্পষ্টত: বিভ্রান্তির তৈরী হয়।