HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

সহবাসের সময়ে আটকে যাওয়ার দাবি সংক্রান্ত ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং ইন্দোনেশিয়ার এক ইউটিউবার বিনোদনের উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করেছেন।

By - Ummay Ammara Eva | 23 May 2024 11:29 PM IST

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় সহবাসের সময়ে একে অপরের সাথে আটকে যায় এবং পরে রক্তক্ষরণে মেয়েটির মৃত্যু হয়। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানেএখানে

গত ১৭ মে 'Sayed Mahmud' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "ঘটনাটা সম্ভবত ইন্দোনেশিয়াতে ঘটেছে ছেলে মেয়ে সহবাস করতে গিয়ে একে ওপর থেকে নামতে পারতেছে না ফলে মেয়েটার প্রচুর পরিমাণ রক্তকরণে দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেছেন #Vaira #FullVideo"। ভিডিওটিতে দুজন নারীপুরুষকে অন্তরঙ্গভাবে কিন্তু বিপদগ্রস্ত অবস্থায় শায়িত থাকতে এবং একে অপরের থেকে দূরে সরার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--



ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং মামাজ কারিও নামের একজন ইন্দোনেশিয় ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতা বিনোদনের উদ্দেশ্যে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করেন।

কি-ওয়ার্ড সার্চ করে 'GUBES MAMAZ KARYO' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ মে "MAYA DAN MARLI TERLEPAS DENGAN ATAS PENGOBATAN GUS DIYONO" শিরোনামে আপলোড করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচ্য ভিডিওটিতে দেখানো ব্যক্তি এবং দৃশ্যের সাথে এই ইউটিউব ভিডিওটির দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে। ভিডিওটিতে দুজন নারী-পুরুষকে অন্তরঙ্গভাবে শুয়ে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় তাদেরকে সাহায্য করতে পাশের লোকজনদেরকে অনুরোধ করতে দেখা যায়। পাশের ব্যক্তিরা তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে এবং পরস্পরকে আলাদা করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।

উক্ত ইউটিউব ভিডিওটির ডেস্ক্রিপশনে ডিসক্লেইমার দিয়ে লেখা থাকতে দেখা যায়, "The video above is purely fictional and is entertainment and educational in nature, please take the positive side and discard the negative side" (স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত)। অর্থাৎ ভিডিওটি কাল্পনিক এবং বিনোদন ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--

Full View


এবারে আলোচ্য ভিডিওটি থেকে নেয়া একটি স্ক্রিনশট (বামে) এবং ইউটিউব ভিডিওটি থেকে নেয়া একটি স্ক্রিনশট (ডানে) দেখুন পাশাপাশি--



পরবর্তীতে উক্ত ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচ্য ভিডিওটিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কয়েকজন এর আগেও এই চ্যানেলের ভিন্ন ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া সহবাসের সময়ে আটকে যাওয়ার এই স্ক্রিপ্টিংয়ে তৈরি করা মোট ১৩টি ভিডিও এখন পর্যন্ত উক্ত ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে।   

এদিকে আলোচ্য দাবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ইন্দোনেশিয়ান সংবাদমাধ্যম টেম্পোর ফ্যাক্টচেক বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেন বুম বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকার তৌসিফ আকবর। টেম্পোর ফ্যাক্টচেকার জয়নাল ইসহাক জানান, ভিডিওর দৃশ্যটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মামাজ ইউনিভার্স স্টুডিওর তৈরি করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে। মামাজ কারিও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার একজন সুপরিচিত ইউটিউবার যিনি ভিডিওটি তৈরি করেন। তিনি তার গ্রামবাসীর সাহায্যে ইউটিউবের কনটেন্ট তৈরি করেন।

এর আগে বুম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে টেম্পো। ওই ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচ্য ভিডিওটি Padepokan Sendang Sejagadt (PPS) নামের একটি সংগঠনের কর্ণধার মামাজ কারিওর তৈরি করা একটি ভিডিওর অংশবিশেষ।

এদিকে আলোচ্য ভিডিওটির ব্যাপারে জানতে বুম বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও মামাজ কারিওর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত মামাজ কারিওর পক্ষ থেকে জবাব পাওয়া যায়নি। তাঁর জবাবে উল্লেখযোগ্য তথ্য পেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করে দেয়া হবে।

অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওটিতে দেখানো ঘটনাটি বাস্তব নয় বরং ইন্দোনেশিয় এক ইউটিউবার বিনোদনের উদ্দেশ্যে ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন।

সুতরাং বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা ভিডিওর ঘটনাকে বাস্তব ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।

Tags:

Related Stories