HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

আবাবিল পাখির চাঁদে যাওয়ার গল্পটি বাস্তব নয় বরং কাল্পনিক

শীতকালে আবাবিল পাখি ইউরোপ ছেড়ে দূরদেশে পাড়ি জমানোয় ইংরেজ শিক্ষাবিদ চার্লস মর্টনের কল্পনা ছিল সেসময় পাখিগুলো চাঁদে যায়।

By - Ummay Ammara Eva | 27 Feb 2023 1:52 PM GMT

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পাখির তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, আবাবিল পাখি চাঁদে গমন করে এবং পানিতে ঘুমায়। এরকম একটি পোস্ট দেখুন এখানে

গত ১৬ ডিসেম্বর 'MD SK Kazirul Islam' নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে এমন একটি পোস্ট করে বলা হয়, "যে পাখি চাঁদে যায় পানিতে ঘুমায় এই পাখিটির নাম হলো আবাবিল পাখি ।" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--


ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, সপ্তদশ শতকের ইংরেজ শিক্ষাবিদ চার্লস মর্টনের কল্পনা ছিল, আবাবিল পাখি যেহেতু শীতকালে ইউরোপে দেখা যায় না, তাই তারা নিশ্চয় চাঁদে যায়। তবে, পরবর্তীতে এটা প্রমাণিত হয় যে, শীতকালে খাবারের অভাবে এবং ইউরোপের তীব্র ঠাণ্ডায় টিকতে না পেরে আবাবিল পাখিরা দূরদেশে উড়ে যায় এবং বসন্তে আবার আগের স্থানে ফিরে আসে।

কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন নিয়ে পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--

Full View

ওই ফেসবুক পোস্ট থেকে প্রাপ্ত লিংক দিয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকে 'রহস্যময় আবাবিল: যে পাখি চাঁদে যায়, পানিতে ঘুমায়...' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "১৬৮০ সালের দিকে ইংরেজি শিক্ষাবিদ চার্লস মর্টন দাবি করেন শীতকালে আবাবিল পাখি চাঁদে যায়। শীতকালে আবাবিলদের দেখা যায় না, তা সকলেই জানত। কিন্তু সে সময় তারা কোথায় যায় এ বিষয়ে কারও কোনো ধারণা ছিল না। মর্টন পাখিদের অনেক অনুসন্ধান করেও খোঁজ না পেয়ে এই তত্ত্ব দেন। তিনি ধারণা করেন পাখিরা এমন জায়গায় যায় যেখানে তাদের খুঁজে পাওয়ার সাধ্য মানুষের নেই। এমন ধারণা থেকেই তিনি পাখিদের চাঁদে যাওয়ার তত্ত্ব দেন।"। স্ক্রিনশট দেখুন--


অর্থাৎ এটি ছিল চার্লস মর্টনের ধারণা। এদিকে, আরও অনুসন্ধান করে wired.com নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'Fantastically Wrong: The Scientist Who Thought That Birds Migrate to the Moon' শিরোনামে একটি নিবন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, 'There were all kinds of theories, but none was more bizarre than that of English minister and scientist Charles Morton, who in the 17th century wrote a surprisingly well-reasoned, though obviously totally inaccurate, treatise claiming birds migrate to the moon and back every year.' (তখন অনেক ধরনের তত্ত্ব প্রচলিত ছিল, কিন্তু ইংরেজ মন্ত্রী (চার্চকেন্দ্রিক ধর্মীয় পদ) এবং বিজ্ঞানী চার্লস মর্টনের চেয়ে বেশি উদ্ভট আর কেউ ছিল না যিনি সপ্তদশ শতকে একটি আশ্চর্যজনকভাবে যুক্তিযুক্ত, যদিও স্পষ্টতই সম্পূর্ণ ভুল, নিবন্ধে লিখেছেন যে পাখিরা প্রতি বছর চাঁদে যায় এবং ফিরে আসে)। স্ক্রিনশট দেখুন--


তবে, ওই নিবন্ধেরই পরবর্তী অংশে চাঁদে গিয়ে যে কোনো পাখির পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, এটা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। "Luckily, in space the birds “encounter no air resistance and are unaffected by gravitation,” writes Harrison. “They are sustained by excess fat,” which turns out to be true in migrating birds, “and they sleep most of the journey of two months.” (Definitely not true, though migrating birds do indeed nod off for a few seconds at a time.)." অনুবাদ--সৌভাগ্যক্রমে, মহাকাশে পাখিরা "কোন বায়ু প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় না এবং মহাকর্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয় না," হ্যারিসন লিখেছেন। "তারা অতিরিক্ত চর্বি দ্বারা টিকে থাকে," যা পরিযায়ী পাখিদের ক্ষেত্রে সত্য বলে প্রমাণিত হয়, "এবং তারা দুই মাসের বেশির ভাগ যাত্রায় ঘুমায়।" (অবশ্যই এটি সত্য নয়, যদিও পরিযায়ী পাখিরা এক সময়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাথা নিচু করে ঘুমায়।) স্ক্রিনশট দেখুন--


তবে, এই পাখিরা আসলে কোথায় যায় সেটা জানার জন্য কি-ওয়ার্ড সার্চ করে স্পেনভিত্তিক ওয়েবসাইট animalwised-এ 'Swallow Bird Migration - How, Why, and Where Do Swallows Migrate?' শিরোনামে একটি নিবন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। ওই নিবন্ধে আবাবিল পাখি বা Swallow-র মাইগ্রেশন তথা দেশান্তরে যাওয়া নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। পতঙ্গভূক হওয়ায় এই পাখিগুলোর প্রধান খাবার হলো উড়ন্ত পতঙ্গ। একারণে, হ্রদ, জলাশয় ইত্যাদির ধারে যেখানে পতঙ্গ বেশী উড়ে বেড়ায়, সেখানে এই পাখিগুলোর দেখা মেলে। মূলত, খাবারের অভাব হওয়ায় শীতকালে এসব পাখি দেশান্তরী হয়। আকাশের নিচু এলাকা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ মাইল পার হয় এই পাখিরা।  স্ক্রিনশট দেখুন--


এছাড়াও, historytoday নামের একটি ওয়েবসাইটেও The Great Migration Mystery শিরোনামের নিবন্ধেও একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আবাবিল পাখির চাঁদে যাওয়ার বা পানিতে বাস করার তত্ত্বটি ১৬৮০ সালের দিকে ইংরেজ শিক্ষাবিদ চার্লস মর্টনের দাঁড় করানো একটা কাল্পনিক তত্ত্ব। যা পরে ভুল প্রমাণিত হয়।

তবে আলোচ্য পোস্টে সংযুক্ত ছবি ও ভিডিওর পাখিটি আবাবিল পাখি কিনা, এ বিষয়টি যাচাই করে দেখেনি বুম বাংলাদেশ।

সুতরাং ইংরেজ শিক্ষাবিদ চার্লস মর্টনের আবাবিল পাখি নিয়ে করা কল্পনাকে বাস্তব দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।

Related Stories