ভারতের একটি ঘটনার ভিডিও বাংলাদেশের বলে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিডিওটি ভারতে ২০২২ সালে ধারণ করা একটি ঘটনার; বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, চট্রগ্রামে দোকানে ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পথের পাশে থাকা দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে কিছু লোকজন এসে ভাঙচুরকারী একজনকে পেটাচ্ছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘Ramu BD Blog’ নামক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “কেউ যদি চাঁদাবাজি করতে আসে, সাধারণ মানুষের দোকানপাট ভাঙতে আসে সঙ্গে সঙ্গে উত্তম মাধ্যম....হোক প্রতিবাদ!!”। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ভারতের পুনে শহরের একটি জায়গায় ২০২২ সালে পথের পাশের দোকানে হামলার পুরোনো ঘটনার ভিডিও বাংলাদশের সাম্প্রতিক ঘটনা বলে প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর “‘Koyta gang’ unleashes terror in Pune’s outskirts again; one held, minor apprehended” শিরোনামে আলোচ্য ভিডিওটির একটি স্থিরচিত্র সহ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পুনেতে কুখ্যাত 'কোয়াতা গ্যাং'-এর দুই ব্যক্তি সিংহগড় ল কলেজের কাছে চাপাতি উঁচিয়ে লোকজনকে নির্বিচারে আক্রমণ করছে। লোকজন আতঙ্কে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দোকানে ঢুকতে এবং রাস্তার পাশের দোকান ভেঙে ফেলতেও দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, প্রায় ২০ মিনিট ধরে ঘটনাটি চলে, এরপর ভারতের বিদ্যাপীঠ থানার মার্শালরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে ধাওয়া করে এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে (অনূদিত ও সংক্ষেপিত)। আলোচ্য ভিডিওটির স্থিরচিত্র (বামে) ও ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর (ডানে) স্ক্রিনশোটের পাশাপাশি তুলনা দেখুন দেখুন--
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এ ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর “Koyta gang-style terror near Sinhagad College, civilians attacked with sickles” শিরোনামে প্রকাশিত আলোচ্য ভিডিওটির স্থিরচিত্র সহ আরো একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এতেও একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ভিডিওটি ভারতে ২০২২ সালে ধারণ করা একটি ঘটনার।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে ভারতের পুরোনো ঘটনা বাংলাদশের সাম্প্রতিক ঘটনা বলে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।