ইউপি নির্বাচনে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ: পুরোনো গুজব নুতন করে প্রচার
২০১৯ সালেও এ নিয়ে ছড়িয়েছিলো ভুয়া খবর; পরে তথ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলো প্রকৃত তথ্য
"ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে-H.S.C ও মেম্বার পদে S.S.C পাস, উক্ত গেজেট স্বাক্ষরিত হয়েছে। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।"
উপরের এই বার্তাটি সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়েছে। সর্বশেষ গত ১০ জুনও কিছু ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এ ধরনের পোস্ট করতে দেখা গেছে।
ফ্যাক্ট চেক:
প্রথমত, ১২ জুন (২০২০) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। সরকারের জনপ্রশাস মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বা তথ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে ১২ জুন পর্যন্ত এমন কোনো গেজেট প্রকাশের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দেশের মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি।
দ্বিতীয়ত, এই একই গুজব ২০১৯ সালেও ছড়িয়েছিলো ফেসবুকে। তখন তথ্য অধিদফতর থেকে প্রেসনোট প্রকাশ করে জানানো হয়েছিলো খবরটি গুজব।
দেখুন তখন প্রকাশিত প্রেসনোট--
লক্ষ্যণীয় হলো, সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়ানো বার্তাটি ২০১৯ সালে ভাইরাল হওয়া গুজবের টেক্সটের সাথে একদম মিলে যায় (বানানরীতি এবং বাংলা ইংরেজি শব্দের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়)।
২০১৯ সালে ছড়ানো গুজবের স্ক্রিনশট--
উপরের স্ক্রিনশটটিতে দেখা যাচ্ছে ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এটি শেয়ার করেছেন, এবং এখনও করছেন।
চলতি জুন মাসেও যে পুরোনো গুজবটি শেয়ার করা হয়েছে তার প্রমাণ দেখুন নিচের স্ক্রিনশটে--
আমাদের সিদ্ধান্ত:
সরকারি কোনো সূত্রে ঘোষণা না থাকা, সংবাদমাধ্যমে কোনো খবর প্রকাশিত না হওয়া এবং পুরোনো গুজবের টেক্সটের সাথে হুবহু মিলে যাওয়ার কারণে বর্তমানে ফেসবুকে ছড়ানো খবরটিকে ভুয়া খবর হিসেবে চিহ্নিত করেছে বুম বাংলাদেশ।