'ফেইক নিউজ' বলে নিজেই সিএনএন এর নামে ফেইক ভিডিও পোস্ট করলেন ট্রাম্প
সিএনএন কর্তৃক প্রকাশিত এক বছরের পুরোনো ভিডিওকে বিকৃত করে তার দায় চাপানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির ওপর
টুইটার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইটকে 'বিকৃত' (manipulated) আখ্যায়িত করে ফ্ল্যাগ করে রেখেছে। ভিডিওটি বৃহস্পতিবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটার ও ফেসবুকে একাউন্টে পোস্ট করেন।
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) June 19, 2020
ট্রাম্পের টুইট করা ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, সিএনএন টিভির লোগো যুক্ত স্ক্রিনের ক্যাপশনে (chyron) লেখা রয়েছে: "Terrified todler [sic] runs from racist baby."
ট্রাম্পের পোস্ট করা ভিডিওর দেখা যাচ্ছে, কৃষ্ণাঙ্গ এক শিশুর পেছন পেছনে দৌড়াচ্ছে শ্বেতাঙ্গ একটি শিশু। তখন স্ক্রিনে ভাসছে সিএনএন এর লোগো এবং ক্যাপশন: "Terrified todler [sic] runs from racist baby." ""Racist baby probability a trump supporter".
অর্থাৎ, সিএনএন 'ধাওয়াকারী' শ্বেতাঙ্গ শিশুটিকে 'racist baby' বলে অভিহিত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে ট্রাম্পের পোস্ট করা ভিডিওতে। এবং এর পর 'সঠিক' ফুটেজ তুলে ধরে দেখানো হয়েছে যে, আদৌও ওই ঘটনাস্থলে শিশু দুটির মধ্যে কোনো ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। বরং তারা উভয়ে খুশি দৌড়াদৌড়ি করছিলো।
ভিডিও শেষাংশে স্ক্রিনজুড়ে টেক্সট ভেসে উঠে: "America is not the problem, fake news is". (অর্থাৎ, এটা বুঝানো হয়েছে যে, সিএনএন যেভাবে শিশু দুটির ঘটনাকে ভুলভাবে তুলে ধরেছে তা 'ফেইক নিউজ', এবং এই ফেইক নিউজই আমেরিকার মূল সমস্যা।)।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সিএনএন ওই ভিডিওটিকে ভুলভাবে প্রচার করেনি, বরং ট্রাম্পের পোস্ট করা বিকৃত (manipulated) ভিডিওতে ভুলভাবে সিএনএন'কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের পোস্ট করা ভিডিওটি ২০১৯ সালে তাদের প্রচারিত একটি অপেক্ষাকৃত বড় ভিডিও অংশ বিশেষ, যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে ভিডিও বিকৃত করে সিএনএন এর লোগো ও ক্যাপশন ব্যবহার করা হয়েছে।
মূল ভিডিওটি ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের; যা ২০১৯ সালে সিএনএন এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল "Internet falls in love with these two toddlers hugging" শিরোনামে।
সিএনএন এর পক্ষ থেকে ট্রাম্পের টুইট করা ফেইক ভিডিওর জবাব দেয়া হয়েছে টুইটারে--
CNN did cover this story - exactly as it happened. Just as we reported your positions on race (and poll numbers). We'll continue working with facts rather than tweeting fake videos that exploit innocent children. We invite you to do the same. Be better. https://t.co/T1nBtejZta
— CNN Communications (@CNNPR) June 19, 2020