ঢাকা কমার্স কলেজের এই ছাত্রটি সুস্থ আছেন
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, এই ছাত্রের নাম হাবিব -ই- খোদা (দিব্য) এবং তিনি সুস্থ আছেন বলে নিজেই বুম বাংলাদেশকে জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ঢাকা কমার্স কলেজ এইচএসসি ২০২৪ ব্যাচের সাব্বির হোসেন নিহত হয়েছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৭ জুলাই 'Akm motiur rahman nizami' নামের একটি পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করে বলা হয়, "ঢাকা কমার্স কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪ ব্যাচ :সাব্বির হোসেন নিহত"। ১৭ জুলাইয়ের পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। ছবির ব্যক্তির নাম হাবিব -ই- খোদা (দিব্য)। তিনি মারা যাননি, বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে নিজেই বুম বাংলাদেশকে জানিয়েছেন।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ফেসবুকে 'Partha Sarathi Das' নামের একটি অ্যাকাউন্টে আলোচ্য ছবিটি সহ আরো একটি ছবিযুক্ত করে ১৬ জুলাই প্রকাশিত পোস্ট পাওয়া যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, ছোট ভাই দি ব্য এর জন্য দোয়া করবেন সবাই! তুই এই শার্ট টাই কেন পড়ে গেলি ভাই!। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
পোস্টটিতে দিব্য এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও মেনশন করা হয়। সেই সূত্রে দিব্য এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও গত ১৬ জুলাই একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, "ভাইরে আমি বেঁচে আছি। আমার মাথাই ৬টা সেলাই পরেছে। দয়া করে কোন ফেক পোস্ট ছড়িয়ে আমার বন্ধু এবং ফ্যামিলি মেম্বারদেরকে বিভ্রান্তের মধ্যে ফেলাবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারি "। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
পরবর্তীতে দিব্যর কাছে জানতে চাইলে তিনি বুম বাংলাদেশকে জানান, "আমার নাম হাবিব -ই- খোদা (দিব্য)। আমি ঢাকা কমার্স কলেজের এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪ এর শিক্ষার্থী। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। আমাকে নিয়ে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে মারা যাওয়া সংক্রান্ত যেসব পোস্ট দেখেছেন (আলোচ্য ছবিটি'সহ) সেগুলো সম্পূর্ণই গুজব।"
অর্থাৎ আলোচ্য ছবির আহত ব্যক্তিটির নাম হাবিব -ই- খোদা (দিব্য), সাব্বির হোসেন নয়। এছাড়া তিনি মারা যাননি এবং বর্তমানে সুস্থ আছেন।
এছাড়া, সাব্বির হোসেন নামটি কিভাবে এলো জানতে চাইলে দিব্য জানান, আন্দোলনে তাঁর বন্ধু সাব্বির হোসেনও আহত হয়েছিল, তাই সেখান থেকেই এই নামটি যুক্ত হতে পারে। তাঁর বন্ধু সাব্বির হোসেনও সুস্থ আছেন বলেও জানান দিব্য।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে 'হাবিব -ই- খোদা (দিব্য)' এর আহত হওয়ার ছবি ব্যবহার করে ভিন্ন এক নাম জুড়ে দিয়ে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।