নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে আবেগতাড়িত এই বক্তব্যটি পুরোনো
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০২৩ সাল বা তার আগে এক ভোক্তা এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১২ অক্টোবর 'Shazzad Hossain' নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়, "আমার বাপের জনমেও দেখিনায় এমন আর্তনাদ, যতটুকু বাড়ছে ততটুকু আয়ের রাস্তা বের হয়েছে, আর যতটুকু বাদ পড়েছে ততটুকু শেখের বেটির উপর দায়ভার করেছি, এখন আর্তনাদ আর আর্তনাদ রাস্তাও বের হই না, দায়ভারের ও লোক নায়, বরং এ যেন আর এক আর্তনাদ। আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে এসব কান্নায়, অবেগ দিয়ে অবৈধ ক্ষমতায় এসে যা ধ্বংস করেছেন এই পর্যন্তই থামেন, যার দেশ তার হাতে দিয়ে দেশ ছাড়েন"। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০২৩ সালে বা তার আগে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক বয়োজ্যেষ্ঠ ভোক্তার কান্নায় ভেঙে পড়ার ভিডিও।
ভিডিওটির মধ্যে উল্লিখিত বাক্য (এ কান্নায় আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠবে) ব্যবহার করে ফেসবুকে কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে ‘Sheikh Dishan’ নামক অ্যাকাউন্টে একই বাক্য ব্যবহার করে শেয়ার করা ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বরে প্রকাশিত একই ভিডিওটি (রিলস ভিডিও সংস্করণে) সহ একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
শেয়ার পোস্টটির মূল আপলোডকারীর অ্যাকাউন্টে গিয়ে ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর 'হে আল্লাহ তুমি রহম করো' শিরোনামে আলোচ্য ভিডিওটি সহ একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে জানানো প্রতিক্রিয়ার নয় বরং ২০২৩ বা তাঁর আগের সময়ের নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে দেয়া এক বয়োজ্যেষ্ঠ ভোক্তার প্রতিক্রিয়ার ভিডিও এটি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সামাজিক মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানান প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন ব্যবহারকারী-নাগরিকগণ।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে একই প্রেক্ষাপটের পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।