আংশিক পোড়া গীতার ছবিটি বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনার নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, গীতার এই ছবিটি বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ গীতার আংশিক পোড়া একটি কপির ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, রাজধানীর বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অধিকাংশ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও গীতা পুড়েনি। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৫ এপ্রিল "একাদশী বার্তা" নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "বঙ্গবাজারে একজন হিন্দুর দোকান অক্ষত গীতা উদার! লক্ষ লক্ষ টাকা পুড়ে গেছে কিন্তু গীতা রয়ে গেছে। সবাই উচ্চসুরে বলি জয় গীতা।” স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনার নয় বরং এর আগেই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল।
ছবিটি রিভার্স সার্চ করলে, 'হিন্দু_প্রেম_ক্যানভাস_গ্রুপ' নামে একটি গ্রুপে 'Sowrov Mohonto Hira' নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি গত ২ এপ্রিল পোস্ট করতে দেখা যায়, যার ক্যাপশনে লেখা "নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা শেয়ার করছি।আমাদের বাড়িতে একবার আগুন লেগেছিল,, সেই আগুনে পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও পুরে যায়নি গীতা টি"। স্ক্রিনশট দেখুন--
লক্ষ্যণীয় যে, রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৪ এপ্রিল। কিন্তু ফেসবুকে ছবিটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল ২ এপ্রিল দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে। পরে তিন এপ্রিল আরও কয়েকটি একাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়। প্রসঙ্গত এই সবগুলো পোস্টই করা হয়েছিল বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনার আগে।
পাশাপাশি, বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনার সাথে জুড়ে ছবিটি প্রচার হতে থাকলে, ৫ এপ্রিল সৌরভ মহন্ত হীরা একই গ্রুপে বিভ্রান্তিকর দাবির কয়েকটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে নিন্দা জানান।
বুম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সৌরভ মহন্ত হীরার সাথে যোগাযোগ করা হলে এখনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পাওয়া মাত্রই প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।
অর্থাৎ আংশিক পোড়া গীতার ছবিটি রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনার নয়।
সুতরাং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ গীতার ভিন্ন ঘটনার একটি ছবিকে রাজধানীর বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের সাথে জুড়ে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।