এপিজে আব্দুল কালামের এই ছবিটি এআই জেনারটেড
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ছবিটি বাস্তবিক নয় বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, কাঠ দিয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের এই ভাস্কর্যটি ছবিতে দৃশ্যমান এই শিল্পী দুই মাস ধরে তৈরি করেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৫ মে 'Md Abdul Hannan' নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করে বলা হয়, "২ মাস ধরে গাছের গুঁড়ি (কাঠ) কেটে - স্যার এ পি জে আবদুল কালামের আবক্ষ তৈরি করতে সময় লেগেছে।কেউ কি ভারতের মহান এই শিল্পীকে অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাবেন না... 😭 " প্রতিভা তর্ক করে না,সৃষ্টি করে" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 💞🙏।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিটি বাস্তবিক নয় বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে গ্রহণযোগ্য কোনো মাধ্যমে দাবি অনুযায়ী ছবিটি বাস্তব হওয়ার বিষয়ে কিংবা ছবির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে বাস্তব ছবির বৈশিষ্ট্যের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে হয় ও এআই ব্যবহার করে তৈরি করা ছবির কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।
আলোচ্য ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়। প্রথমত, ছবিতে থাকা সেই শিল্পীর বাম হাতটি অদ্ভুতভাবে বাঁকা। দ্বিতীয়ত, পুরো ছবিটি স্পষ্ট দেখা গেলেও শিল্পীর পায়ের দ্বিতীয় আঙুল আবছা এবং পায়ে চারটি আঙুল দেখা যায়। পাশাপাশি আব্দুল কালামের ভাস্কর্যের পাশে আরেকটি ছোট আকৃতির ভাস্কর্য দেখা যায়, যা স্পষ্ট নয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে এআই ছবি শনাক্তের টুল 'হাইভ' ব্যবহার করে ছবিটি যাচাই করা হয়। টুলটি ছবিটিকে সম্ভাব্য এআই দ্বারা তৈরি ছবি হিসেবে ফলাফল প্রদান করেছে। ছবির ফলাফলের স্ক্রিনশট দেখুন--
পাশাপাশি, এআই ছবি শনাক্তের আরেক টুল 'ইজ ইট এআই' ব্যবহার করে ছবিটি যাচাই করা হয়। টুলটি ছবিটিকেই সম্ভাব্য এআই দ্বারা তৈরি ছবি হিসেবে ফলাফল প্রদান করেছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ভাস্কর্যের ছবিটি কোনো শিল্পীর তৈরি নয় বরং এটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং এআই প্রযুক্তিতে তৈরি ছবিকে বাস্তবিক ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে; যা বিভ্রান্তিকর।