জামায়াত নেতার আটক নিয়ে যমুনা টিভির এই ফটোকার্ডটি নকল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, যমুনা টিভির ফরম্যাটে তৈরিকৃত আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি, পেজ ও গ্রুপে বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ডাকাতি করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর এক নেতা আটক হয়েছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২ জানুয়ারি ‘হবিগঞ্জ সাইবার ফোর্স’ নামের একটি পেজ থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “ডাকাতি করতে গিয়ে সেনা বাহিনীর হাতে জামাত নেতা আটক।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশন নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে জানিয়েছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবেদন যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এমনকি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে যমুনা টেলিভিশনের এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২ জানুয়ারি একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, এই ফটোকার্ডটি যমুুনা টেলিভিশনের নয়। গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ যমুনা টেলিভিশনের এর লোগো ব্যবহার করে ডাকাতি করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে জামায়াত নেতা আটক দাবিতে নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। যমুনা টেলিভিশন এমন কোনো খবর কিংবা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
সুতরাং যমুনা টেলিভিশনের লোগো ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর হাতে জামায়াত নেতা আটক দাবিতে ভিত্তিহীন ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।