শেখ হাসিনা মারা গেছেন বলে চ্যানেল ২৪ এর এই ফটোকার্ডটি নকল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো যুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি 'عبدالله بن يوسف' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "ফি নাহারী জাহান্নামা খালি দিনা ফি-হা মহিলাটি ইউরোপ আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্য এশিয়ার সবথেকে বড় মিথ্যাবাদী ছিল!"ফটোকার্ডটিতে লেখা থাকতে দেখা যায়, "সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন"। নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোর নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে জানিয়েছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবেদন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২৩ ফেব্রুয়ারি করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, চ্যানেল 24- এর নামে ছড়ানো এই ছবি ভুয়া। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। পোস্টটি দেখুন--
এছাড়াও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটেও আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) "নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার মৃত্যুর খবরটি সত্য নয়" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের প্রকাশিত নয় বলে জানানো হয়।
অর্থাৎ চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো ব্যবহার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে মৃত্যুর তথ্যসম্বলিত নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এমন কোনো খবর কিংবা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
সুতরাং চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো ব্যবহার করে শেখ হাসিনার মৃত্যুর তথ্যসহ নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।