রাবিতে কোরআন পোড়ানো সংক্রান্ত প্রথম আলোর এই ফটোকার্ডটি নকল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে প্রথম আলো।
![রাবিতে কোরআন পোড়ানো সংক্রান্ত প্রথম আলোর এই ফটোকার্ডটি নকল রাবিতে কোরআন পোড়ানো সংক্রান্ত প্রথম আলোর এই ফটোকার্ডটি নকল](https://www.boombd.com/h-upload/2025/02/05/1039601-boom-frame.webp)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে লেখা থাকতে দেখা যায়, রাবিতে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমন্বয়ক ও শিবিরনেতা ফরিদ আটক, চেয়েছিলেন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধাতে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
১২ ঘণ্টা আগে 'Arifa Rahman Ruma' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ফেরদৌস ফরিদ গ্রেফতার হয়েছে। তার উদ্দেশ্য ছিলো হিন্দুবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা ও ভারতবিদ্বেষী রাজনীতিকে উস্কে দেয়া। শোনা যায় ঘটনা ঘটানোর পর নিজেকে আড়াল করতে সে মাথার চুল এবং দাড়ি কেটে ফেলে!! আমার ভেতর একটা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। এই ফরিদের নিজের কি পবিত্র কোরআন শরীফে বিশ্বাস আছে ? যদি তা থাকতো তাহলে কি সে কেবল দাঙ্গা বাঁধাতে কোরআন পোড়াতে পারতো ? জামায়াত শিবির কি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে নাকি ধর্মকে কেবলই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উপায় হিসেবে ব্যবহার করে ?" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে নিশ্চিত করেছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবেদন প্রথম আলোর ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কয়েক ঘন্টা আগে করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, “প্রথম আলোর নাম ছড়ানো এই তথ্য ও কার্ডটি ভুয়া। আমাদের প্রকাশিত নয়। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে থাকুন”। পোস্টটি দেখুন--
এছাড়াও প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনেও "রাবিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমন্বয়ক-শিবির নেতা আটক শিরোনামে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওাযায়। ওই প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটি তাদের প্রকাশিত নয় বলে জানানো হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক সমন্বয়ক ও শিবির নেতা আটকের তথ্য সংক্রান্ত নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। প্রথম আলো এমন কোনো খবর কিংবা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
সুতরাং প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে।