প্রথম আলোর নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি নকল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে প্রথম আলো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছে হিন্দু সঞ্চয় রায়। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১০ মার্চ 'Ohona Robin' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "কলেজ থেকে ফেরার পথে এক হিন্দু মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করেছে এক মুসলিম ছেলে। শুধু এটুকুই না, তার ঘরের জানালায় উঁকি মেরে অশ্লীল কথা বলেছে ও টানা উত্যক্ত করেছে। ফলে মেয়ের বাবা ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে সেই ছেলেটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মেয়েটির বাবাকে কুপাতে শুরু করে। কি? মনে হচ্ছেনা দেশটা কত খারাপ? জামাত, বিএনপি সবাই উঠেপড়ে লেগে যেত দেশকে অসাম্প্রদায়িক প্রমাণ করার জন্য! বাঙ্গু প্রগতিশীলরা বলতো, এই দেশ আমার না। রাজুতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল বের হতো। হিন্দুরা মোদিকে বলতো, দেখো বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো নেই। আসলে হয়েছে উল্টোটা, মুসলিম মেয়েকে সঞ্চয় রায় নামের এক হিন্দু ছেলে উত্যক্ত করায় মেয়েটির বাবা মিজান অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করে সঞ্চয় রায়। ঘটনাটি নোয়াখালীর কবিরহাটের। দেশ ঠিক আছে, অসাম্প্রদায়িকতাও আছে।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে নিশ্চিত করেছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবেদন প্রথম আলোর ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ১০ মার্চ একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, এই ফটোকার্ডটি প্রথম আলোর নয়। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে থাকুন। পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে ‘মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছে হিন্দু সঞ্চয় রায়’ সম্পর্কিত নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। প্রথম আলো এমন কোনো খবর কিংবা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
সুতরাং প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।