আওয়ামী লীগ নিয়ে জামায়াত আমীরের মন্তব্যযুক্ত এই ফটোকার্ডটি নকল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আমার দেশ পত্রিকার লোগোযুক্ত এই ফটোকার্ডটি নকল বা ভুয়া বলে একটি পোস্টে নিশ্চিত করেছে পত্রিকাটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, আইডি ও পেজে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মন্তব্য দিয়ে বলা হয়, বিএনপির হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে আবার আওয়ামী লীগ এর সাথে জোট করবো। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি 'Showkat Akbor' নামক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে উল্লেখ্য করা হয়, "সবসময়ই তো জোট করেছেন । আবার ও করেন । আপনি তো ফ্যাসিবাদের দোসর । আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য। ৮৬ তে জোট করে ভোট করেছেন । ৯৬ তে জোট করে আন্দোলন করেছেন। ২০০৮ সালে ভোটে যেতে জোটকে বাধ্য করলেন। এখনও আপনার বক্তব্যে পুরোনো পিরিতের ধারাবাহিকতা বহন করে।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। জাতীয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বলে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে পত্রিকাটি।
ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ লেখা রয়েছে। কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আমার দেশ পত্রিকার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উক্ত তারিখে জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মন্তব্যযুক্ত একটি ফটোকার্ড যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত ভাইরাল দাবির ছবির মিল পাওয়া যায়। এছাড়া, ভাইরাল ছবিতে ১৮ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে। আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত অরিজিনাল পোস্টটি দেখুন--
এদিকে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আমার দেশ পত্রিকার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে ভাইরাল ফটোকার্ডটি পাওয়া যায়নি কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।
তবে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ভাইরাল ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে আমার দেশ। যেখানে বলা হয়, আমার দেশের নামে ফটোকার্ড বানিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ জামায়াত আমিরের মন্তব্যযুক্ত ভাইরাল ফটোকার্ডটি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা তৈরি বা খবর প্রকাশ করেনি।
সুতরাং আমার দেশ পত্রিকার লোগো যুক্ত করে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বানানো ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।