নবজাতকের এই ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং এআই প্রযুক্তিতে তৈরি
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, কারেন কাসমাউস্কি নামের একজন চিত্রগ্রাহকের তোলা ছবিকে এআই টুল ব্যবহার করে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, একজন নবজাতক শিশু আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) এর নাম ও কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে বলছেন। ভিডিওটিতে নবজাতক শিশুকে কথা বলতে দেখা যায়। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৭ এপ্রিল "Md Helal" নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফুটেজটি পোস্ট করে লেখা হয়, "নবজাতক শিশুর মুখে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কথা কেয়ামতের আলামত কথা উনি বলে যাচ্ছে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া উচিত।" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল দিয়ে তৈরি।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে সার্চ করার পর, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওতে (এনপিআর) "How One Country Drastically Cut Its Newborn Death Rate" শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে নবজাতকের ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। "A newborn child in Bangladesh" ক্যাপশনের ছবিটির চিত্রগ্রাহক হিসাবে কারেন কাসমাউস্কি'র (Karen Kasmauski) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। দেখুন--
এর সূত্রধরে সার্চ করার পর, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ছবি সংগ্রহশালায় একই বিবরণসহ ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। উল্লেখ করা হয়েছে, কারেন কাসমাউস্কি ছবিটি ২০০২ সালে ধারণ করেছিলেন।
মূলত এই ছবিটিকে ব্যাবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল দিয়ে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। মূলত জেনারেটিভ এআই বর্তমানে উদীয়মান একটি প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো চেহারা, ছবি ও কণ্ঠ ব্যবহার করে লিখিত নির্দেশনা থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভিডিও তৈরি সম্ভব। ডিপফেক প্রযুক্তি ও এই জেনারেটিভ এআই-এর অংশ। www.deepfakesweb.com সহ এ জাতীয় ভিডিও তৈরির একাধিক টুল অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে গবেষকদের মতে কখনো কখনো এই প্রযুক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।
অর্থাৎ ভিডিওটি বাস্তব নয়।
সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল দিয়ে তৈরি নবজাতকের একটি ভিডিওকে বাস্তব দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।