প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, প্রতিমা ভাঙচুরের এই ছবিটি ২০২১ সাল থেকে ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায়।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাস্য একটি দেবী প্রতিমার ছবি শেয়ার করে প্রতিমাটি গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার পরে তৈরি হওয়া অরাজকতার সময়ে ভাঙা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৬ ঘন্টা আগে 'Niroda Das' নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "#বিজয় উল্লাসটা মন্দির, প্রতিমা ভেঙেই শুরু করলেন? এটাই তাহলে বিজয়? #followerseveryone #everyonefollowers #Internacional আমাদের চট্টগ্রামে মন্দির ভাংচুর করেছে 😭😭"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিটি সাম্প্রতিক নয় বরং ২০২১ সাল থেকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান থাকতে দেখা যায়।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে 'SBDBFORUMS' নামে একটি ওয়েবসাইটে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটি ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর 'KingKohli' নামে একটি একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে 'Dr. Anjay Bose' নামে একটি টুইটার একাউন্ট থেকে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর পোস্ট করা একটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টেও আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে দূর্গা পুজার সময়ে ছবিটি ধারণ করা হয়। এক্স পোস্টটি দেখুন--
I am upset. We have 303 MPs in the parliament. But, neither they can save the Hindus of WB by imposing President Rule, nor they can handle the horrific persecution of Hindus during Durga Puja in Bangladesh diplomatically. #BangladeshiHindusInDanger @PMOIndia @ihcdhaka @Swamy39 pic.twitter.com/nSPoHtRM3L
— Dr. Anjay Bose 🏳 (@AnjayBose) October 14, 2021
এছাড়াও বাংলাদেশ দর্পণ নামে একটি অপ্নলাইন পোর্টালে ২০২২ সালের ৩১জানুয়ারি "দুর্গাপূজাকালীন সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের" শিরোনামেও একটি প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিটি সাম্প্রতিক নয়। অন্তত তিন বছর আগে থেকেই ছবিটি অনলাইনে বিদ্যমান থাকতে দেখা যায়।
সুতরাং অন্তত তিন বছরের পুরোনো ঘটনার ছবিকে সাম্প্রতিক দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।