ভিডিওটি চলতি ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখছে, ভিডিওটি চলতি ফুটবল বিশ্বকাপ উদ্বোধনের নয় বরং ২০২১ সালে আল থুমামা স্টেডিয়াম উদ্বোধনের সময়ের।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওটি চলতি ২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াতের সময় ধারণ করা। এমন কিছু পোস্টের লিংক দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২১ নভেম্বর 'মোঃ মোরসালিন খন্দকার' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও ফুটেজটি শেয়ার করে লেখা হয়, "আলহামদুলিল্লাহ ❤ ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ৯২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কুরআন তেলাওয়াত। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে রিভার্স সার্চ করার পর, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম 'Doha News' এর টুইটার হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। টুইটে লেখা হয়েছে, "This is how Qatar incorporated its Islamic Culture at the inauguration of the World Cup Al Thumama stadium. Children were seen reciting verses on 'mercy' from the Quran." অর্থাৎ ভিডিওটি ২০২১ সালে আল থুমামা স্টেডিয়াম উদ্বোধনের সময়ের। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সেখানে শিশুরা ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের আর-রহমান সূরা থেকে আয়াত তিলওয়াত করেছিল। ভিডিওটি দেখুন--
এই অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে দোহা নিউজের অনুরূপ বিবরণে 'সাবাকপ্রেস' নামে একটি আলজেরিয়ান সংবাদমাধ্যম ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর প্রকাশিত খবরও খুঁজে পাওয়া গেছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
আল থুমামা স্টেডিয়াম উদ্বোধনের একটি ভিডিও দেখুন। প্রসঙ্গত চলতি বিশ্বকাপে আল থুমামা স্টেডিয়ামেও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থাৎ ভিডিওটিও চলতি ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নয়। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কুরআন থেকে তিলওয়াত করা হয়েছে।
২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাতারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ইউটিউবার ও উদ্যোক্তা ঘানিম আল মুফতাহ ও আমেরিকান অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যান পারফর্ম করেন। এ সময় মুফতাহ ফ্রিম্যানের সাথে কথোপকথনে কুরআন থেকে সুরা হুজরাতের ১৩ নং আয়াত তিলাওয়াত করেন।
সুতরাং ২০২১ সালে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়াম উদ্বোধনে কুরআন পাঠের পুরোনো ভিডিও চলতি ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বলে দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।