দৃশ্যটি তুরস্কের একটি নাটকের, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, দৃশ্যটি কারা সেভদা (Kara Sevda) নামের একটি তুর্কি ড্রামা সিরিজের।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, জনপ্রিয় তুর্কি ড্রামা সিরিজ কুরুলুস উসমানের চরিত্র উসমান বে খ্যাত অভিনেতা বুরাক ওজচিভিত স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ভূমিকম্পে হতাহতের উদ্ধার কাজে চেষ্টা করছেন। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি 'Mohammad Rashed' নামের একটি আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "সকল কুরুলুস প্রেমিকদের প্রিয় মানুষ ওসমানীয় সামরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ( ওসমান বে )Kuruluş Osman চরিত্রে অভিনয় করা ""বুরাক ওজিভিত"" যখন তুর্কি ভূমি ধ্বসে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন❤️❤️ তার এই চেহারা দেখে খুবই কষ্ট পেলাম,, 😰😭 আল্লাহ তুরস্কের সকল মুসলমানকে হেফাজত করুন - আমিন"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিও ফুটেজটি তুরস্কের ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালানোর সময়ের নয় বরং এটি একটি তুর্কি ড্রামা সিরিজের ক্লিপ।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চ করার পর, তুর্কি সম্প্রচার মাধ্যম 'Halk TV'-এর একটি প্রতিবেদনে ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। "Ülkemizde yaşanan maden faciaları, Burak Özçivit’in dizisinde böyle eleştirildi ( স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ- This is how the mine disasters in our country were criticized in Burak Özçivit's TV series)" শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনই ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, দৃশ্যটি কারা সেভদা (Kara Sevda) নামে একটি তুর্কি ড্রামা সিরিজের। স্ক্রিনশট দেখুন--
ইউটিউবে সার্চ করে কারা সেভদা'র ভেরিফাইড ইউটিউবে চ্যানেলে ড্রামাটির একটি পর্বে ফুটেজে দেখতে পাওয়া হুবহু দৃশ্যটিই খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওতে ভাইরাল ফুটেজের অংশটি ১ ঘন্টা ৪৯ মিনিট ২০ সেকেন্ড থেকে দেখুন।
ইউটিউবে পাওয়া ড্রামা সিরিজে থেকে নেয়া স্ক্রিনশট (বামে) এবং আলোচ্য ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটের ( ডানে) তুলনা দেখুন--
অর্থাৎ ভিডিওটি তুরস্কে ঘটা সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালানোর সময়ের নয় বরং একটি ড্রামা সিরিজের দৃশ্য এটি।
সুতরাং তুর্কি একটি ড্রামা সিরিজের দৃশ্যকে তুরস্কের জনপ্রিয় অভিনেতার সাম্প্রতিক ভুমিকম্পে উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণের দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।