মুরাদ ও নায়িকা মাহির এই ছবিটি এডিটেড
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, মাহির সাথে তাঁর স্বামী রাকিব সরকারের ছবিটি এডিট করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের ছবি বসানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ এবং গ্রুপ থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, সাংসদ ডা. মুরাদ হাসান এবং ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা মাহিয়া মাহি পাশাপাশি হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৪ নভেম্বর 'Md Sojib' নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, "টাকলায় কামডা করলো কি? পেজটি ফলো দিয়ে সাপোর্ট করবেন সবাই। #টাকলা #মুরাদ #মাহিয়া #মাহি।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ছবিটি এডিটেড। বরং ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সাথে স্বামী রাকিব সরকারের প্রকৃত ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের মুখমণ্ডল জুড়ে দিয়ে ছবিটি বানানো হয়েছে।
সার্চ করে Photography by Shahriar TAmim নামক একটি পেজে গত ১২ নভেম্বর বেশ কয়েকটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। যেগুলোর মধ্যে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির হাত ধরে তার স্বামী রাকিব সরকারের দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের প্রথম ছবিটিকে এডিট করে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। পোস্টটি দেখুন--
এবারে উক্ত পোস্টের প্রথম বা অরিজিনাল ছবিটি (বামে) এবং আলোচ্য পোস্টের এডিটেড ছবিটি (ডানে) পাশাপাশি দেখুন--
এছাড়া কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Mahiya Mahi Sarker নামক ফেসবুক আইডি থেকে "আরও ছবি আসছে" শীর্ষক ক্যাপশন দিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন মাহি। উক্ত পোস্টে সংযুক্ত কিছু ছবিতে মাহিয়া মাহি এবং তার স্বামী রাকিব সরকারের আলোচ্য ছবির পোশাকে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া পোস্টকৃত ছবিগুলোর সিজে কার্টেসী হিসেবে Shahriar Tamim শীর্ষক ওয়াটার মার্ক লক্ষ্য করা যায়। যা Photography by Shahriar TAmim নামক পেজে পোস্টকৃত মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকারের ছবিগুলোর ওয়াটার মার্ক এর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ স্বামী রাকিব সরকারের সাথে নায়িকা মাহিয়া মাহির তোলা ছবিতে এডিট করে রাকিবের চেহারার স্থলে ডা. মুরাদ হাসানের চেহারা বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে ডা. মুরাদ হাসানের এডিটেড ছবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।