ছবিটি রোদের তাপে বেঁকে যাওয়া রেললাইনের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০১১ সালে ভূমিকম্পের কারণে নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চ অঞ্চলের রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ছবি এটি।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি রেল লাইনের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, প্রচণ্ড রোদের তাপে বেঁকে যাওয়া একটি রেললাইন ছবি এটি। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৭ অক্টোবর "হৃদয়ের অনূভুতিツ" নামের ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "প্রচন্ড রোদের তাপে বেকে যাওয়া একটি রেললাইন "। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ক্যাপশনে করা দাবিটি বিভ্রান্তিকর। রোদের তাপের ফলে নয় বরং ২০১১ সালে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে বেঁকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের এই রেললাইনটি।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর, সামজিক মাধ্যম রেডিট-এর একটি চ্যানেলে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "Bent railroad tracks after a New Zealand earthquake"। স্ক্রিনশট দেখুন--
রিভার্স সার্চে, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সান-এ "PICTURE TOO PERFECT? These incredible photographs look like they're photoshopped… but they're totally genuine" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। এখানেও ছবিটি নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্পের পরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
এই সূত্র ধরে কীওয়ার্ড সার্চ করার পর, Advancing Earth And Space Science নামের একটি ব্লগপোস্ট ছবিটি ২০১১ সালের ৮ মার্চ ছবিটি আপলোড করতে দেখা যায়। বিবরণে লেখা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রেললাইনের ছবি এটি। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ছবিটি রোদের তাপে নয় বরংউচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পে বেঁকে যাওয়া রেললাইনের।
New Zealand History নামের নিউজিল্যান্ড সরকারের ওয়েবসাইট দেয়া তথ্য মতে ২০১১ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারির ক্রিস্টচার্চ ও লিট্টেল্টনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় যাতে ১৮৫ জনের মৃত্যু ঘটে। ক্রাইস্টচার্চ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
সুতরাং, ভূমিকম্পে বেঁকে যাওয়া একটি রেল লাইনের ছবি দিয়ে রোদের তাপে বেঁকে যাওয়া রেললাইনের বলে দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।