ওয়ালিদের ৩৪তম বিসিএসে সাফল্য লাভের খবরটি ৬ বছর আগের
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০১৫ সালে এম ওয়ালিদ বিন কাশেমের সাফল্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো।
সম্প্রতি ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে ওয়ালিদের বিসিএসে প্রথমস্থান অধিকার করার একটি খবর পোস্ট করা হচ্ছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর 'বেকার বার্তা' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি অনলাইন পোর্টালের খবরের লিংক পোস্ট করে বলা হয়, "প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পড়া ছাত্র ওয়ালিদ বিসিএসে প্রথম।" হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টালের খবরটিতে ডেটলাইন দেয়া আছে '3 weeks ago' এবং খবরে ঘটনাটি "৩৪ বিসিএস এর মেধা তালিকায় সবার সেরা হওয়া আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ বিন কাশেমের" বলে উল্লেখ করা হয়। খবরটি প্রকাশের ডেটলাইন ও ফেসবুকে পোস্ট করার তারিখ দেখে একাধিক ব্যবহারকারীকে খবরটি সাম্প্রতিক মনে করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফেসবুকে পোস্ট করা খবরের নিচে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মন্তব্যের স্ক্রিনশট-
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি ৬ বছরের পুরোনো।
বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে, খবরটি ২০১৫ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। তন্মধ্যে দৈনিক সমকাল অনলাইনে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর "সেরাদের সেরা ওয়ালিদ" শিরোনামে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার এম ওয়ালিদ বিন কাশেমের ৩৪তম বিসিএসে প্রথম হবার খবরটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, "সম্প্রতি প্রকাশিত ৩৪তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মেধা তালিকায় সেরা স্থান দখল করেছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ছেলে এম ওয়ালিদ বিন কাশেম। অথচ প্রথমবার ৩৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি তিনি। তাদের চমকিয়ে দেয়ার জন্য এক ওয়ালিদই যথেষ্ট। বলছি ৩৪তম বিসিএসের মেধা তালিকায় সবার সেরা হওয়া আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ বিন কাশেমের কথা।"
দৈনিক সমকাল অনলাইনে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটিকেই সামান্য পরিবর্তনসহ কপি করে আলোচ্য অনলাইন পোর্টালতে প্রকাশ করা হয়েছে। দৈনিক সমকালের মূল খবর ও ভাইরাল অনলাইন পোর্টালের খবরের পাশাপাশি স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ছয় বছর আগের সংবাদমূল্যহীন একটি পুরোনো খবরকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সম্প্রতি নতুন করে প্রকাশ করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।