ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মৃত্যুর সংবাদটি ভুয়া
গণমাধ্যম ও পেলের পরিবারের সূত্রে পাওয়া তথ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বুম বাংলাদেশ।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এমন দুটি পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
গত ৪ ডিসেম্বর 'মোঃসাজু আহমেদ সুভ' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে 'সময় 24 ঘন্টা সংবাদ' নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে অখ্যাত একটি অনলাইন পোর্টালের খবর শেয়ার করে লেখা হয়, "ফুটবলের রাজা পেলে আর নেই,না ফেরার দেশে চলে গেলেন!"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পেলের মৃত্যু সংবাদটি সঠিক নয়।
আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে দেয়া অখ্যাত পোর্টালের লিংকে গিয়ে দেখা যায়, শিরোনামে পেলের মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হলেও খবরের বিস্তারিত অংশে তাঁর মৃত্যু সংক্রান্ত কোন তথ্য দেয়া হয়নি। সেখানে বরং অপ্রাসঙ্গিক একটি সংবাদ সূচনা দিয়ে, সংবাদের মাঝের প্যারায় তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেখুন স্ক্রিনশট--
এদিকে, কী ওয়ার্ড সার্চ করে দেখা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় "Brazil football legend Pele feels 'strong' after hospitalisation" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পেলের কন্যা কেলির বরাতে, তাঁর বাবা সম্প্রতি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে চিকিৎসাধীন বলে জানানো হয়। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
একই বিবরণসহ সংবাদসংস্থা রয়টার্সেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেখুন--
পরে পেলের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে ৪ ডিসেম্বর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ছবিসহ পোস্ট করে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। পোস্টটিতে সবাইকে ধন্যবাদ এবং পেলে কিছুটা সুস্থ বলেও জানানো হয়। দেখুন--
পেলের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর ব্রাজিলকে শুভ কামনা জানিয়ে আরও একটি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পেলের মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং একাধিক সংবাদমাধ্যম তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছে।
সুতরাং কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার পেলের মৃত্যুর ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।