'আল্লাহু আকবর' স্লোগান দেয়া ভারতের মুসকানের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ছবির মেয়েটি ভারতের কর্ণাটকের মুসকান নয় বরং এটি ২০১৭ সালে কাশ্মীরে একটি বিক্ষোভের ছবি।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের কর্ণাটকে 'আল্লাহু আকবর' স্লোগান দিয়ে আলোচনায় আসা মুসলিম নারী শিক্ষার্থী মুসকান আর নেই। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
ফেসবুকে তিন ঘন্টা আগে 'Abu Toha Muhammad আদনান' নামের একটি পেজে উক্ত ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়,
"মুসকান আর নেই 🥲🥲
ভারত বর্ষে যে মেয়েটা আল্লাহু আকবার বলে আওয়াজ
দিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল,সেই মুসকান বোনটাকে কাফেরের
দলেরা হত্যা করে ফেলেছে।
আল্লাহ তুমি এই বোন কে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন
আমিন আমিন ছুম্মা আমিন ।" পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, উক্ত পোস্টে করা দাবিটি সঠিক নয় এবং পোস্টে যুক্ত ছবিটি ভারতের কর্ণাটকের 'আল্লাহু আকবর' স্লোগান দেয়া মুসকানের নয় বরং এটি ২০১৭ সালে ভারতের কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় ধারণ করা ছবি।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল 'Rediff.com' তাদের ওয়েবসাইটে 'PHOTOS: Students clash with security forces in Kashmir' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে কাশ্মীরে চলা ওই প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের একাধিক ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে উক্ত ছবিটি খুঁজে পাওয়া গেছে। স্ক্রিনশট দেখুন----
আবার, একই বছরের ৩০ এপ্রিল ভারতের গুজরাটের পত্রিকা mid.day তাদের ওয়েবসাইটে 'When the girls come out pelting in Kashmir' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে উক্ত ছবিটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
মূলত, ছবিটি ২০১৭ সালে অর্থাৎ ৫ বছর আগে কাশ্মীরের শ্রীনগরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় আহত এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়ার দৃশ্যের। ছবিটি ভারতের কর্ণাটকে 'আল্লাহু আকবর' স্লোগান দেয়া মুসকানের নয়।
এদিকে, একাধিকবার কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও ভারতের কর্ণাটকের মুসকানের মৃত্যুর খবর কোনো সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ২০১৭ সালের কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সময়ে ধারণ করা আহত এক শিক্ষার্থীর ছবিকে ভারতের কর্ণাটকের মুসকানের মৃতদেহের বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।