যশোরের রাসেল'স ভাইপারের কামড়ে শিশু মৃত্যুর খবরটি সঠিক নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য পোস্টে ব্যবহৃত ছবির শিশুটি ২০২২ সালে কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাপের কামড়ে মারা যায়।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি শিশুর ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, যশোরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় রাসেল'স ভাইপার সাপের কামড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
কয়েক ঘন্টা আগে 'Roy Saniper' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি সাপের ছবি ও একটি শিশুর ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "যশোরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় রাসেল ভাইপারের কামড়ে এক ছোট শিশুর মৃত্যু হয়েছে😭😭স্থান নোয়াপাড়া কপি.."। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য পোস্টের শিশুর ছবিটি যশোরে উঠানে খেলা করার সময় সম্প্রতি দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো রাসেল'স ভাইপার সাপের কামড়ে মারা যাওয়া শিশুর নয়। ছবিটি ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়ায় সাপের কামড়ে সাদেক মো. জিহান নামের এক শিশুর। এছাড়া, যশোরে রাসেল'স ভাইপারের কামড়ে কোনো শিশু মারা যাওয়া কিংবা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আলোচ্য ছবির শিশুটির পরিচয় জানতে ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর "সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়ায় সাপের কামড়ে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর সাদেক মো. জিহান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। প্রতিবেদনে বিষাক্ত সাপের কামড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলা হয়, তবে সাপের প্রজাতির নাম উল্লেখ করা হয়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল ডেইলি বাংলাদেশ, পার্বত্য নিউজ এবং সিভয়েসটোয়েন্টিফোর ডটকমে একই শিশুর ছবি এবং একই সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়।
এদিকে যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় রাসেল'স ভাইপার সাপের অস্তিত্ব বা কামড়ে কেউ আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। সাপের কামড়ে এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
সুতরাং ২০২২ সালে কক্সবাজারে সাপের কামড়ে মারা যাওয়া এক শিশুর ছবিকে সম্প্রতি যশোরে রাসেল'স ভাইপারের কামড়ে মারা যাওয়া শিশুর ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।