আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভের তথ্যটি ভুয়া
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, গত ৮ আগস্ট শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আহমাদুল্লাহ এবং আজহারীর নাম নেই।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ইসলামিক বক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাহ এবং মিজানুর রহমান আজহারী ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৭ আগস্ট 'Samim Sarkar' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করে বলা হয়, ""ব্রেকিং নিউজ: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছে তরুন প্রজন্মের সবার প্রিয় ড. মিজানুর রহমান আজহারী এবং শায়েখ আহমাদুল্লাহ ❤️ আলহামদুলিল্লাহ❤️"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। গত ৮ আগস্ট শপথ নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে শায়েখ আহমাদুল্লাহ বা মিজানুর রহমান আজহারী নেই। পরবর্তীতে গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় আ. ফ. ম. খালিদ হোসেনকে।
শায়েখ আহমাদুল্লাহ এবং মিজানুর রহমান আজহারী ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পেয়েছেন কিনা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে "প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাগণের মধ্যে মন্ত্রণালয়/বিভাগের দপ্তর বণ্টন" শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞপ্তিটি থেকে জানা যায়,গত ৯ আগস্ট ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ শায়েখ আহমাদুল্লাহ বা মিজানুর রহমান আজহারীর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভের তথ্যটি সঠিক নয়। সদ্য ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।
সুতরাং শায়েখ আহমাদুল্লাহ এবং মিজানুর রহমান আজহারী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।