খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৯ মার্চ "ফজলুর রহমান খোকন - বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করে লেখা হয়, "বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পেলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আলহামদুলিল্লাহ”। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান উভয়েই তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন।
কী ওয়ার্ড ধরে সার্চ করার পর, দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে গত ৯ মার্চ "খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে" শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর পরিবারের করা আবেদন স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে গেলেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এখনো এ বিষয়ে মতামত দেননি।
পরবর্তীতে, দৈনিক সমকালের অনলাইন সংস্করণে 'আইনমন্ত্রী বললেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার খবর মিথ্যা" শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়, যা ১০ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই প্রতিবেদনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
বুম বাংলাদেশ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের নিকট নেই বলে নিশ্চিত করেন।
সুতরাং বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়।