নোয়াখালীর বন্যার দাবিতে প্রচারিত এই ছবিগুলো এআই জেনারেটেড
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ছবিগুলো বাস্তবিক বন্যার নয় বরং এগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রেডসের একটি একাউন্ট থেকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিগুলো বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা নোয়াখালীর সাম্প্রতিক বন্যার চিত্র। পোস্টটি দেখুন এখানে। এছাড়াও ফেসবুকের একটি একাউন্ট থেকেও একই দাবিতে এই ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টটি দেখুন এখানে।
গত ২১ আগস্ট 'nadimmahedihasan' নামের একটি একাউন্ট থেকে ছবিগুলো পোস্ট করে বলা হয়, "নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। পানির স্তর বাড়তে থাকায় বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বন্যা মোকাবেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সহায়তার প্রয়োজন বলে জানা যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ছবিগুলো বাস্তবিক নয়। অর্থাৎ ছবিগুলো বাস্তব কোনো দৃশ্যের নয় বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।
ছবিগুলো নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে গ্রহণযোগ্য কোনো মাধ্যমে দাবি অনুযায়ী ছবিগুলো বাস্তব হওয়ার বিষয়ে কিংবা ছবির বিষয়েও উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে এগুলো বাস্তব ছবির বৈশিষ্ট্যের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এরমধ্যে এআই ব্যবহার করে তৈরি করা ছবির বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।
পরবর্তীতে, এআই ছবি শনাক্তের টুল 'হাইভ' ব্যবহার করে ছবিগুলো যাচাই করা হয়। টুলটি ছবিগুলোকে সম্ভাব্য এআই দ্বারা তৈরি ছবি হিসেবে ফলাফল প্রদান করেছে। ছবিগুলোর ফলাফলের কোলাজ স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া এআই ছবি শনাক্তের আরেক টুল 'ইজ ইট এআই' ব্যবহার করেও ছবিগুলো যাচাই করা হয়। এই টুলটিও ছবিগুলোকে সম্ভাব্য এআই দ্বারা তৈরি ছবি হিসেবে ফলাফল প্রদান করেছে। ছবিগুলোর ফলাফলের কোলাজ স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিগুলো বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা নোয়াখালীর সাম্প্রতিক বন্যার চিত্র নয় বরং এগুলো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং এআই প্রযুক্তিতে তৈরি ছবিকে বাস্তবিক ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে থ্রেডসে, যা বিভ্রান্তিকর।