ছবিটি মহাশূন্য থেকে দেখতে পাওয়া অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ছবিটি নাসার সায়েন্টিফিক ভিজুয়ালাইজেশন স্টুডিও কর্তৃক ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, মহাশূন্য থেকে দেখতে পাওয়া অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ছবি এটি। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৯ ডিসেম্বর 'Faria Jahan Ritu নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "মহাশূন্য থেকে এন্টারটিকা মহাদেশ.."। পোস্টের স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি বাস্তব নয় বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি।
রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর, ছবিটি সম্পর্কে বার্তাসংস্থা রয়টার্সে 'Widely-viewed picture is a computer-generated illustration of Antarctica as it appears from space" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ছবিটি নাসার সায়েন্টিফিক ভিজুয়ালাইজেশন স্টুডিও কর্তৃক ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। স্ক্রিনশট--
সার্চ করার পর, নাসার ওয়েবসাইটে "Global View of the Arctic and Antarctic on September 21, 2005" শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দেখানোর জন্য নাসার সায়েন্টিফিক ভিজুয়ালাইজেশন স্টুডিও কম্পিউটারে কৃত্রিমভাবে তৈরি কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে। মূলত এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত একটি ছবিকেই আংশিক কেটে বর্তমান ভাইরাল ছবিটি তৈরী করা হয়েছে। প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ছবিটি বাস্তব নয় বরং নাসা কর্তৃক ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি। এছাড়া ছবিটি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা স্নুপসও যাচাই করেছে।
সুতরাং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি একটি ছবিকে মহাশূন্য থেকে দেখতে পাওয়া অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বলে দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।