প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি বন্ধের দাবিটি সঠিক নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, উপবৃত্তি বন্ধ করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা বিভাগের উপবৃত্তি বিভাগের পরিচালক ড. নাছিমা বেগম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রেডস’এ একটি একাউন্ট থেকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দুই বছরের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। পোস্টটি দেখুন এখানে। একই দাবিতে ফেসবুকের বিভিন্ন একাউন্ট থেকে করা কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৯ অক্টোবর 'jubu077' নামে একটি থ্রেডস একাউন্ট থেকে পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, "প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ২ (দুই) বছর বন্ধ ঘোষনা করলো উপবৃত্তি বিভাগ।" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি বন্ধ করা হয়নি বরং টাকার পরিমাণ আরো বাড়ানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা বিভাগের উপবৃত্তি বিভাগের পরিচালক ড. নাছিমা বেগম।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দেখা যায়, থ্রেডস এবং ফেসবুকে প্রচারিত আলোচ্য পোস্টগুলোতে কোনো ধরণের তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
পাশাপাশি কি-ওয়ার্ড সার্চ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে খুঁজেও প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দুই বছরের জন্য স্থগিত ঘোষণা সম্পর্কে কোনো নোটিশ বা প্রজ্ঞাপন পাওয়া যায়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে "প্রাথমিকে উপবৃত্তি ২ বছর স্থগিত- ভাইরাল দাবিটিকে গুজব বললেন পরিচালক" শিরোনামে জাতীয় দৈনিক ‘আজকের পত্রিকার’ ফ্যাক্ট চেক বিভাগে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দুই বছরের জন্য স্থগিতের ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো প্রজ্ঞাপন পাওয়া যায়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
দাবিটির ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. নাছিমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বুম বাংলাদেশকে বলেন, "এটি গুজব। আমরা উপবৃত্তি বন্ধ করিনি বরং টাকার পরিমাণ আরো বাড়াচ্ছি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়াচ্ছি।"
অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি বন্ধ করা হয়নি।
সুতরাং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি বন্ধ করা হয়েছে দাবিতে পোস্ট করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রেডস এবং ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।