রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলে স্বাক্ষরের দাবিটি ভিত্তিহীন
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলই উত্থাপিত হয়নি সুতরাং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের দাবিটি অবাস্তব।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিল অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি এবং সেনাবাহিনীর অধীনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৪ জানুয়ারি 'Md Salim' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি ইউটিউব ভিডিওর লিংক পোস্ট করা হয়। ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করা ওই ভিডিওর লিংকে লেখা থাকতে দেখা যায়, "রাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলে অনুমোদন দিলো রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর অধিনে পুনরায় নির্বাচন সিএসসি"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি ভিত্তিহীন। সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদে কোনো বিলই উত্থাপিত হয়নি, সুতরাং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের দাবিটি অবাস্তব।
নানাভাবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে কোনো বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা একটি বহুল আলোচিত বিষয়, তাই এ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ এলে তা সংবাদমাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হতো।
এছাড়াও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে সার্চ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত কোনো বিল উত্থাপন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ব্যাপারে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়।
অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের কোনো বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করার দাবিটি ভিত্তিহীন।
সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।