মামুনুল হকের কারামুক্তির ভুয়া তথ্য ফেসবুকে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, পোস্টের ক্যাপশনে মামুনুল হককে মুক্ত করা হয়েছে লেখা হলেও বিষয়বস্তুতে এরকম কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং তার বড় ভাই তাকে মুক্ত করেছেন। এরকম একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
গত ১৫ জানুয়ারি '𝐍𝐞𝐭𝐥𝐢𝐧𝐞 𝐛𝐝' নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "মামুনুল হককে মু'ক্ত করলেন তার বড় ভাই !"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টে করা দাবিটি সঠিক নয়। মামুনুল হক কারামুক্ত হননি বরং তাকে কারামুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী ও সমাবেশের ঘোষণা দিচ্ছেন তার দলের অনুসারীরা। এছাড়া, ভিডিওটির ক্যাপশনে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে তার বড় ভাই মুক্ত করার কথা বলা হলেও ভিডিওটিতে মামুনুলের কারামুক্তির কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সংযুক্ত ভিডিওটির ৫৮ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডে বলা হয়, "মাওলানা মামুনুল হকের বড় ভাই বলছেন, মাওলানা মামুনুল হকের অপরাধটা কী? দীর্ঘদিন যাবত সে এই বন্দীদশায় কারাভোগ করতেছে। কোন অপরাধ যে তাকে এতোদিন ধরে বন্দীদশায় থাকতে হবে? এমনটাই বলতেছেন মাওলানা মামুনুল হকের বড় ভাই।" এছাড়া পুরো ভিডিওটিতে মামুনুল হলের বড় ভাই মামুনুল হককে কারামুক্ত করেছেন বা এরকম কোনো উদ্যোগ নেওয়ার কোনো বক্তব্য বা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য ওই ভিডিওতে উপস্থাপন করা হয়নি।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ৫ ঘন্টা আগে মামুনুল হককে নিয়ে সর্বশেষ খবর খুঁজে পাওয়া যায় নয়াদিগন্তের ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটটিতে 'মামুনুল হকের মুক্তি দাবিতে খেলাফত মজলিসের জাতীয় সমাবেশের ঘোষণা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।" স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া, কি-ওয়ার্ড ধরে নানাভাবে সার্চ করেও মামুনুল হকের মুক্তি সংক্রান্ত কোন খবর কোন গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অর্থ্যাৎ মাওলানা মামুনুল হক এখনো কারামুক্ত নন। বরং তাকে কারামুক্ত করার জন্য তার অনুসারীরা বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন।
সুতরাং মামুনুল হককে তার ভাই মুক্ত করেছেন এরকম চটকদার ভিত্তিহীন তথ্য লিখে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।