সোনাদিঘী মসজিদ 'রাতের আধাঁরে' ভাঙা হয়নি
সোনাদিঘীকে কেন্দ্র করে গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মসজিদসহ বিভিন্ন ভবন ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করছে সিটি করপোরেশন
ফেসবুকে একটি মসজিদ ভাঙার কয়েকটি ছবিসহ কিছু পোস্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে যেখানে অনেকে এটাকে ''রাতের আধারে ((অর্থাৎ গোপনে) সোনাদীঘি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়'' বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। একটি পোস্টে লেখা হয়েছে-
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি এলাকাকে নতুনভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১৬ তলা একটি নতুন ভবন, মসজিদ, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সেখানকার বর্তমান বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, ভবন ভাঙা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোনাদীঘি মসজিদকে স্থানীয় সিটি সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শুরু হয় স্থাপনা ভাঙার কাজ। অন্যান্য স্থাপনার সাথে মসজিদের ভবনটিও ভাঙা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ঐহিত্যবাহী সোনাদীঘি পাড়ে নবনির্মিত সিটি সেন্টার হবে রাজশাহীর সবচেয়ে চমৎকার আধুনিক বহুতল ভবন। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হবে।
নির্মিত হবে নতুন মসজিদ। থাকবে বসার ও হাঁটার রাস্তা এবং উন্মুক্ত জায়গা। রাতে আলোকায়ন করা হবে। দীঘিকে সংস্কার করে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হবে। কাজ শেষে সোনাদীঘি ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা।"
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--
"ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘী পাড়ে নবনির্মিত সিটি সেন্টার হবে রাজশাহীর সবচেয়ে চমৎকার আধুনিক বহুতল ভবন। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হবে। সোনাদীঘির পুরাতন জামে মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে। দ্রæতই মসজিদটি নির্মাণে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সিটি সেন্টারের অস্থায়ী মসজিদে প্রথম পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করা হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লিরা সেখানে জুমার নামাজে অংশ নেন। নামাজের পূর্বে রাসিক মেয়র এসব কথা বলেন।"
জাতীয় তথ্য বাতায়নের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পোর্টাল থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সোনাদিঘীকে ঘিরে নেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মসজিদটি ভাঙ্গা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। আপাতত: নামাজের জায়গা অস্থায়ীভাবে সিটি সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-