শায়খ আহমাদুল্লাহ মসজিদে এসি ব্যবহারকে বিদ'আত বলেননি
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, শায়েখ আহমাদুল্লাহ মসজিদে এসি ব্যবহার করে নামাজ আদায়কে বিদ'আত বলে কোনো ফতোয়া বা বক্তব্য দেননি।
সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকের একাধিক আইডি থেকে একটি ব্যানার পোস্ট করা হচ্ছে যেখানে লেখা রয়েছে, ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মসজিদে এসি ব্যবহার করা বিদ'আত। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৯ জুলাই 'Kazi Boktear Reza' নামের একটি আইডি থেকে একটি ব্যানারের ছবি পোস্ট করা হয় যেখানে ইসলামি বক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাহের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা আছে, "মসজিদে এ.সি ব্যবহার এটি সুস্পষ্ট বিদ'আত, আর যারা মসজিদে এ.সি চালিয়ে নামাজ পড়বে তারা সবাই বিদ'আতী"। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, শায়েখ আহমাদুল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রচারিত বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। তিনি মসজিদে এসি বন্ধ সংক্রান্ত কোনোরকমের বক্তব্যই দেননি। শায়েখ আহমাদুল্লাহর ছবি ও নাম ব্যবহার করে তাঁর নামে বিভ্রান্তিকরভাবে বক্তব্যটি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
কি ওয়ার্ড সার্চ করে কোনো গণমাধ্যমে আহমাদুল্লার দেয়া "মসজিদে এসি ব্যবহার করা বিদ'আত" সংক্রান্ত এমন কোনো বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি শায়েখ আহমাদুল্লাহর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও তাঁর দেয়া এ ধরণের কোন বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, সাম্প্রতিক বিদ্যুৎপ্রবাহ ব্যহত হওয়া এবং সরকারিভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে তিনি লিখেছেন, "সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় হয় শুধু সেটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান সম্ভব।" পোস্টটি দেখুন--
এই পোস্টটি ছাড়া আর কোথাও সম্প্রতি বিদ্যুৎ কিংবা মসজিদে এসি ব্যবহার নিয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় শায়েখ আহমাদুল্লাহর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাথে। ফাউন্ডেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বুম বাংলাদেশকে জানানো হয়, শায়খ আহমাদুল্লাহ এমন কোন বক্তব্য বা ফতোয়া দেননি। আরো বলা হয়, "কোন কোন অসৎ মানুষ আমাদের ছবি ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের লোগো সেঁটে ভুয়া পোস্টার তৈরি করে সেখানে আমাদের নামে মনগড়া কথা লিখে প্রচার করছে। অথচ এমন কথা আমরা কোথাও কখনো বলিনি। তাই প্রসঙ্গত: জানিয়ে রাখি, আমাদের বক্তব্য ও উক্তির একমাত্র নির্ভরযোগ্য সূত্র হলো আমাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ, ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েব সাইট। এছাড়া কোথাও আমাদের নামে প্রচারিত কোন কথার দায়-দায়িত্ব আমাদের নয়।"
অর্থ্যাৎ শায়েখ আহমাদুল্লাহ মসজিদে এসি ব্যবহার করাকে বিদ'আত বলে কোনো বক্তব্য দেননি।
সুতরাং শায়েখ আহমাদুল্লাহর নামে "মসজিদে এসি ব্যবহার করা বিদ'আত" বলে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, তা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।