কোটা আন্দোলনের ছবিকে সাকিব ভক্তদের ছবি দাবি করে ফেসবুকে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আলোচ্য ছবিটি ধারণ করা হয়।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক একাউন্ট ও গ্রুপে একটি ছবি শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ছবিটি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের পক্ষে রাজপথে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২১ অক্টোবর 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "এ জীবনে সাকিব আল হাসানের কোন কিছু পাওয়ার আর নেই।একজন ক্রিকেটার এর জন্য, তার ভক্তরা রক্ত দিয়েছে যা ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে...তুমি কোটি কোটি ভক্তের মন জয় করে নিয়েছো। তোমার জীবন ধন্য..!" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিটি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ভক্তদের রাজপথে অবস্থানের নয় বরং গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে আলোচ্য ছবিটি ধারণ করা হয়।
আলোচ্য ছবিটির উৎস জানতে ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে উইকিমিডিয়া কমন্সের ওয়েবসাইটে 'File:7.Bangladesh quota reform movement 2024.jpg' শিরোনামে পোস্ট করা একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির বর্ণনায় লেখা থাকতে দেখা যায়, "আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে সব অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল এবং সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রান্তিক নাগরিকদের জন্য ন্যূনতম কোটা রাখার এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু করেছে।" এছাড়াও, ছবিটি ৬ জুলাই ধারণ করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফটোস্টকার গেটি ইমেজেসেও একই ইভেন্টের আলোচ্য ছবিটির কাছাকাছি সময়ে তোলা একটি খুঁজে পাওয়া গেছে, সেখানেও ছবিটি ৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময়ে তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইউরেশিয়া রিভিউ, দ্য ওয়্যার এবং সিপিআইএমডট নেটে প্রচারিত প্রতিবেদনেও আলোচ্য ছবিটি গত জুলাই মাসের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে ধারণ করা বলে উল্লেখ করা হয়।
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিটি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সমর্থকদের জমায়েতের নয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছবিকে সাকিবের পক্ষে অবস্থানকারীদের ছবি হিসেবে দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছবিকে ক্রিকেটার সাকিবের পক্ষে অবস্থানকারীদের দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।