সারা টেন্ডুলকার 'ও শুধু আমার' লিখে টুইট করেননি
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, সারা টেন্ডুলকারের নামে খোলা একটি প্যারোডি এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি গণমাধ্যমের পেজে একটি খবরের লিংক পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমান গিলকে উদ্দেশ্য করে 'ও শুধু আমার' বলেছেন ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার। পোস্টটি দেখুন এখানে।
গতকাল ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪'র ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ 'bdnews24.com' থেকে "‘ও শুধু আমার’ ফাইনালের কাকে বললেন টেন্ডুলকার কন্যা?" শিরোনামের একটি খবরের লিংক পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, "ফাইনালের আগে প্রেমিক শুবমানকে উদ্বুদ্ধ করতেই সারা এমনটা বলেছেন বলে নেটিজেনদের অনেকেরই ধারণা।" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফেসবুকে পোস্ট করা লিংকে ক্লিক করে বিডিনিউজ২৪ এর বিস্তারিত খবরে লেখা হয়, "নিজের হাসি মুখের খোলা চুলের একটা ছবি শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে সারা লিখেছেন, ‘‘ও আমার।’’" দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারে নামে খোলা একটি প্যারোডি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি করা হয়েছে। সারা টেন্ডুলকারের কোনো এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্ট নেই।
আলোচ্য প্রতিবেদনে সংযুক্ত সারা টেন্ডুলকার নামের এক্স একাউন্টটিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, একাউন্টটি স্বঘোষিত একটি প্যারোডি বা নকল একাউন্ট। দেখুন--
এছাড়াও, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ২০১৯ সালে শচীন টেন্ডুলকারের ভেরিফাইড এক্স (টুইটার) একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন যে "তার ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার এবং মেয়ে সারা টেন্ডুলকারের কোনো এক্স (টুইটার) একাউন্ট নেই"। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে সারা টেন্ডুলকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, তিনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অফিশিয়ালি কেবলমাত্র ইনস্টাগ্রাম ও পরবর্তীতে থ্রেডস একাউন্ট ব্যবহার শুরু করেন। দেখুন--
অর্থাৎ শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারের কোনো এক্স একাউন্টই নেই। 'সে আমার' লিখে যে একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে সেটি সারা টেন্ডুলকারের নামে খোলা একটি প্যারোডি বা নকল এক্স একাউন্ট।
সুতরাং প্যারোডি একাউন্টের পোস্টকে শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারের পোস্ট বলে প্রচার করা হচ্ছে গণমাধ্যমে; যা বিভ্রান্তিকর।