খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা সংক্রান্ত খবরটি বেশ পুরোনো
২০১২ সালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় ফেরার সম্ভবনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশের জনগণের ভোটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবার সম্ভবনার কথা জানিয়েছে। কোনো কোনো ফেসবুক পোস্টে একটি খবরের স্ক্রিনশটও ব্যবহার করা হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩১ মে 'মোঃ সাগর মিজি' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়েছে, "পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া মন্তব্য।"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি প্রায় এক যুগ পুরোনো।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করার পরে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় খালেদা জিয়া বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্পর্কিত সম্প্রতি প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও সংবাদমাধ্যমটিতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তবে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করলে, টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার ওয়েবসাইটে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রকাশিত একটি মতামত পাওয়া যায়, ‘India’s worries could mount with Khaleda Zia’s expected return to power in Bangladesh’ শিরোনামে মতামতটি ২০১২ সালের ২৯শে আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালের আসন্ন নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে লেখা মতামতের একাংশে লেখিকা ভারতি জৈন বাংলাদেশের অতীত রাজনৈতিক গতিবিধি পর্যালোচনা করে পরবর্তী মেয়াদে (অর্থাৎ ২০১৪ সালের নির্বাচনে) বেগম খালেদা জিয়াই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
পরে এই মতামতের সূত্র ধরে দেশীয় সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ ডটকম "ঢাকায় ‘ক্ষমতা বদলের শঙ্কায়’ নয়া দিল্লি" শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল।যদিও আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে যে খবরটির স্ক্রিনশট দেয়া হয়েছে সেটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিবরণ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় মূলত ২০১২ সালে প্রকাশিত ওই মতামতটির কথাই ফেসবুক পোস্টগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়া পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক লেখিকার মতামতটি সাম্প্রতিক নয় বরং ১১ বছর পুরোনো।
সুতরাং প্রায় এক যুগ পুরোনো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি মতামতকে সাম্প্রতিক দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।