এলপি গ্যাসের দাম কমা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য
যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনকে ভিন্ন ক্যাপশন দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার কারণে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে যেখানে ক্যাপশনে লেখা রয়েছে- 'আজ থেকে ১২ কেজি গ্যাসের নির্ধারিত খুচরা মূল্য ৬০০ টাকা।দাম বেশি দেখলে ৯৯৯এ কল করুন।' পোস্টটির সাথে যমুনা টেলিভিশনের একটি সংবাদ প্রতিবেদন সংযুক্ত রয়েছে যেখানে অবশ্য দাম কমানোর ব্যাপারে কোন খবর নেই বরং হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশ এনার্জী রেগুলেটরি কমিশনের বিরুদ্ধে একটি রুল জারীর খবর দেয়া হয়েছে।
ফ্যাক্ট চেক:
যাচাই করে দেখা যায়, সম্প্রতি জ্বালানী গ্যাস হিসেবে ব্যবহৃত এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) এর কোন দাম কমেনি। তবে গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী গ্যাসের দাম কমলে তার প্রভাব হিসেবে জুলাইয়ে এসে বাংলাদেশের বাজারে সরকারীভাবে সরবরাহকৃত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ১২.৫ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেসময় কিছু কিছু বেসরকারী কোম্পানীও সিলিন্ডারপ্রতি গ্যাসের দাম ক্ষেত্রবিশেষে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। যদিও বেসরকারী কোম্পানীর সিলিন্ডার নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কোন নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে অনেক গ্রাহকও সেসময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে এসেছে। দেখুন এখানে ও এখানে।
তবে ফেসবুক পোস্টের সাথে সংযুক্ত ভিডিওটি মূলত গত ২৯ নভেম্বরের যমুনা টিভির একটি প্রতিবেদন যেখানে একই দিনে হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশ এনার্জী রেগুলেটরি কমিশনের প্রতি জারীকৃত রুলের খবরে দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গণশুনানির মাধ্যমে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এর দাম নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ অমান্য করায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে বলে প্রতিবেদনে জানা যায়। এ সংক্রান্ত অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের খবর দেখুন এখানে ও এখানে।
সুতরাং নতুন করে এলপি গ্যাসের দাম কমানোর বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।