যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের ভুয়া তথ্য প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ইলিয়াস আলী উদ্ধারের তথ্যসংবলিত ফটোকার্ডটি তাদের প্রচারিত নয় বলে নিশ্চিত করেছে যমুনা টেলিভিশন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও গ্রুপে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। ফটোকার্ডটিতে গুমের শিকার সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে লেখা থাকতে দেখা যায়, আজ রাত ১১:১৭ মিনিটে মো. ইলিয়াস আলীকে আয়নাঘর থেকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
গত ২০ আগস্ট 'মা ট্রান্সপোর্ট' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে 'Neel Miah' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের লোগোসহ একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। ফটোকার্ডটিতে লেখা থাকতে দেখা যায়, "আজ রাত ১১:১৭ মিনিটে মোঃ ইলিয়াসকে আয়নাঘর থেকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি এডিটেড। যমুনা টেলিভিশনের লোগো ব্যবহার করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, আলোচ্য ফটোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের বানানো নয় বলে চ্যানেলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের কোনো সংবাদ যমুনা টেলিভিশন বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আরো কি-ওয়ার্ড সার্চ করে যমুনা টেলিভিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক চ্যানেলে গত ২৪ আগস্ট করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফেসবুক পোস্টে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের তৈরি করা নয় বলে জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ফটোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের তৈরি করা নয়। যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ডের আদলে ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং যমুনা টিভির বরাতে সামাজিক মাধ্যমে ইলিয়াস আলীকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে- এরকম তথ্য সম্বলিত যে ফটোকার্ডটি প্রচার করা হচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর।