সম্পাদিত ছবি সাম্প্রদায়িক রং মিশিয়ে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিন্ন স্থানে মোনাজাতের একটি ছবি এডিট করে মন্দিরের ছবির সাথে জুড়ে দিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়েছে, মন্দিরে কয়েকজন পাঞ্জাবি-টুপি পরা অবস্থায় মোনাজাত করছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১০ অক্টোবর 'Md. Ashraful Islam' নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে বলা হয়, "কি দিন আইলো! পূজা মন্ডপে মোনাজাত করে।আসলে এরা ইসলাম ধর্ম টা কে পালন করে কি? নাকি মূখস দাড়ি....এদের বিরুদ্ধে কথা বলে নাকি ইমান থাকবে না?"। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের ছবিটি সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা। ভিন্ন স্থানে মোনাজাতের একটি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ছবিটিকে একটি মন্দিরের সাথে যুক্ত করে দিয়ে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
আলোচ্য ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে ফেসবুকে 'Jubaer Ahmed' নামের একটি অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত মূল ছবিটি যুক্ত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রিয় শায়েখ গুলো, মোনাজাত টা অবশ্যই অনেক অনেক হৃদয়কাড়া ছিল! চরমোনাই মরহুম কুতুবদ্বয়ের মাকবারাহ্। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
সেসময়ে ছবিটি নিয়ে আরো বেশকিছু অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল। দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
পাশাপাশি, ফেসবুকে আলোচ্য প্রচারিত ছবিটিকে সম্পাদিত উল্লেখ করে প্রকাশিত পোস্টও পাওয়া গেছে। সম্পাদিত ছবি (বামে) ও ২০২৩ সালে প্রকশিত মূল ছবিটির (ডানে) পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
দেখা যাচ্ছে, ডান পাশের ছবিটি থেকে মোনাজাতরত অবস্থার ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে এনে মন্দিরের ছবির সাথে সম্পাদনার মাধ্যমে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এর ফলে ছবির একদম বাম পাশের লোকটির হাত মুছে গেছে। এছাড়াও তাঁর পাঞ্জাবির একটি অংশও মুছে গেছে।
অর্থাৎ আলোচ্য ছবিটি সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে সম্পাদিত ছবি দিয়ে সাম্প্রদায়িক রং মিশিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।