পুতুলের ছবিকে বাস্তব শিশুর ছবি বলে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ছবিটি কানাডিয়ান একজন ভাস্করের বানানো একটি বিশেষ ধরণের পুতুলের।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি ছবি শেয়ার করে শিশুটি অসুস্থ দাবি করে তার জন্য দোয়া চাওয়া হচ্ছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৩ আগস্ট 'Alamgir Khan11' নামে একটি আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "দোয়া না করে কেউ এড়িয়ে যাবেন না, আল্লাহ সুস্থতা দান করো।🤲 আমিন।😢"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি একটি অসুস্থ শিশুর হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। মূলত ছবিটি একটি পুতুলের যা বিশেষ ধরণের শিশুদের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতে এক কানাডিয়ান শিল্পী বানিয়েছেন।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে গত ১৭ আগস্ট 'Chenza Dolls' নামে কানাডার অন্টারিও থেকে পরিচালিত একটি ফেসবুকে পেজে একটি পোস্টে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়েছে, "আমি এই পুতুলগুলি সাধারণত সেসব পিতা-মাতা বা পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে তৈরি করি, যাদের দুঃখ ও মনোকষ্ট নিয়ে জীবনযাপন করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। যারা সাহায্য চান তাদের জন্য আমি সেখানে আছি, যেখান থেকে বেশিরভাগ মানুষই হয়ত তাদের ফিরিয়ে দেবে।....." (অনূদিত) ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
ফেসবুক পোস্টটির সূত্র ধরে ওই পেজটির এবাউট সেকশন থেকে linktr.ee থেকে সার্চ করে 'Chenza Dolls By Vincenzina Care' নামে একটি ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ওয়েবসাইটে ছবির শিশুটির মত দেখতে আরো শিশুর পুতুল খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটি থেকে জানা যায়, ওই পুতুলগুলো পলিমার ক্লে এবং এক্রিলিক পেইন্টের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে vincenzinacare.com নামে একটি ওয়েবস্টোর খুঁজে পাওয়া যায়। ওই স্টোরের এবাউট সেকশন থেকে ভিনসেনজিনা কেয়ারের সম্পর্কে জানা যায় যে, ভিনসেনজিনা একাধারে একজন ভাস্কর, ইলাস্ট্রেটর, আলোকচিত্রী ও গ্রাফিক ডিজাইনার। OCAD university-র Sculpture and Installation বিভাগের শিক্ষার্থী ভিনসেনজিনা ৭ বছর বয়স থেকে পুতুলের মূর্তি তৈরি করে আসছেন। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থ্যাৎ কানাডিয়া ভাস্কর ভিনসেনজিনা কেয়ারের পলিমার ক্লে দিয়ে তৈরি করা পুতুলের ছবিকে বাস্তব শিশুর ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।