পুজা চেরি ও শাকিব খানের বিয়ের ভুয়া খবর ফেসবুকে
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, খবরের শিরোনামে ও পোস্টের ক্যাপশনে পুজা চেরি ও শাকিবের বিয়ের কথা বলা হলেও খবরের বিষয়বস্তু ভিন্ন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের একটি লিংক পোস্ট করে বলা হচ্ছে, নিজ ধর্ম ত্যাগ করে শাকিব খানকে বিয়ে করেছেন ঢালিউড অভিনেত্রী পুজা চেরি। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১২ ডিসেম্বর '২৪ ঘন্টাই সংবাদ' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে 'সময়ের খবর' নামে একটি আইডি থেকে অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে লেখা হয়, "বিয়ের কাবিননামা ও বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া তুলে ধরলো পূজা, বলেন বিয়ে করছি এখানে লুকানোর কিছ নেই"। উক্ত ফেসবুক পোস্টটিতে "অবশেষে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে শাকিবকে বিয়ে করলেন পূজা চেরি………. – My Blog" শিরোনামে একটি খবরের লিংক যুক্ত করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থ্যাৎ, ওই পোস্টে দাবি করা হচ্ছে শাকিব খানকে বিয়ে করেছেন পূজা চেরি এবং পূজা নিজেই তা জানিয়েছেন।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরের শিরোনামে করা দাবিটি ভিত্তিহীন আর খবরের বিস্তারিত অংশ অর্থাৎ বিষয়বস্তু ভিন্ন এবং কোনো কোনো লিংকে কোনো তথ্য নেই বরং ফাঁকা।
আলোচ্য পোস্টে যুক্ত খবরের লিংকে ঢুকে দেখা যায়, এতে কোনো কনটেন্ট নেই অর্থাৎ ফাঁকা। স্ক্রিনশট দেখুন--
আবার কোনো কোনো লিংকের শিরোনামে শাকিব খান ও পূজা চেরির বিয়ের তথ্য দেয়া হলেও খবরের বিষয়বস্তু অপ্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য ও বাক্য দিয়ে পূর্ণ করা। এছাড়াও প্রত্যেক বাক্যে অযাচিতভাবে যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ১৩ অক্টোবর দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে "অবশেষে পূজা চেরিকে নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব খান" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢালিউড অভিনেত্রী পুজা চেরি এবং অভিনেতা শাকিব খান প্রথম আলোকে তাঁদেরকে জড়িয়ে মিথ্যে তথ্য রটানো হচ্ছে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফেসবুকে পুজার বিয়ের দাবি ছড়িয়ে পড়তে দেখে পুজা চেরির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বুম বাংলাদেশ। এসময়ে ফোনালাপে পুজা চেরির মা বুম বাংলাদেশকে জানান, পুজা এবং শাকিব খানকে জড়িয়ে যা কিছু তথ্য ছড়াচ্ছে সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সুতরাং চটকদার শিরোনাম দিয়ে খবরের বিস্তারিত অংশ ফাঁকা রেখে, কোথাও কোথাও ভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।