মোবাইল সেট পোড়ানোর পাকিস্তানের ভিডিওকে আফগানিস্তানের বলে দাবি
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, পাকিস্তানের শুল্ক বিভাগ কর্তৃক জব্দ করা পণ্য ধ্বংস করার ভিডিও এটি, আফগানিস্তানের বলা বিভ্রান্তিকর।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে স্মার্ট ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় একটি জায়গায় মাটিতে বেশ কিছু স্মার্টফোন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৬ জানুয়ারি 'Zaid Al Aslam' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, "অাফগানিস্তানে স্মার্ট ফোন নিষিদ্ধ 🚫 এটাকে শয়তানের চোখের মণি বলে ঘোষনা 💗 বিঃদ্রঃ পোস্টটি একটি অারবি পেজ থেকে নেয়া! সত্য হলে অালহামদুলিল্লাহ💗💗" পোস্টের স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওর বর্ণনায় করা দাবিটি সঠিক নয়। মূলত পাকিস্তান শুল্ক বিভাগ কর্তৃক জব্দ করা অবৈধ পণ্য ধ্বংস করার ভিডিওকে আফগানিস্তানের বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভিডিওটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে ১৪ সেকেন্ডে, এক ব্যক্তির উর্দিতে পাকিস্তানের পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। বোঝা যায় ভিডিওটি পাকিস্তানের। স্ক্রিনশট দেখুন--
ভিডিওটির কি ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চ করলে, 'SkK Karachi' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে "Pakistan customs destroyed RS 3 billion smuggled Goods @SKK Karachi" শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর আপলোড করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পাওয়া নিরাপত্তা কর্মী ও অবকাঠামোর সাথে ইউটিউবের ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভাইরাল ভিডিও এবং ইউটিউব ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশটের তুলনামূলক পর্যালোচনা দেখুন--
ভিডিওটি দেখুন--
এই সূত্র ধরে কিওয়ার্ড সার্চ করার পর, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম 'দ্য নিউজ' এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করাচির কালেক্টরেট অব কাস্টমস (এনফোর্সমেন্ট) একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর, চোরাই পথে আনা বেআইনি সামগ্রী ধ্বংস করার এক উৎসবের আয়োজন করেন। তৎকালে পাকিস্তানের শুল্ক বিভাগের ওই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম 'ভাইস'-এর একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ভিডিওটি আফগানিস্তানের নয় বরং পাকিস্তানির উক্ত আয়োজনের।
সুতরাং পাকিস্তান শুল্ক বিভাগ কর্তৃক জব্দ অবৈধ পণ্য ধ্বংস করার ভিডিওকে আফগানিস্তানে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা ভিত্তিহীন।