সম্প্রতি এক এসআইকে মারধরের ঘটনার সাথে প্রচার করা ভিডিওটি পুরোনো
বুম বাংলাদেশে দেখেছে, ২০২০ সালের একটি ভিডিওকে সম্প্রতি রাজবাড়িতে এসআইকে মারধরের বলে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও দিয়ে খবর প্রচার করা হচ্ছে যে, রাজবাড়িতে পুলিশের এক এসআইকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো এলাকাবাসী। দেখুন এখানে এবং এখানে।
গত ২৭ জুন '৫২টিভি' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ৭ মিনিটের একটি ভিডিও লাইভ করা হয় যার শিরোনামে বলা হয়, 'খেলা শুরু! রাজবাড়ীতে এসআইকে পিটিয়ে মেডিকেলে পাঠালো এলাকাবাসী!'। ভিডিওটির ৩৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ড পর্যন্ত পুলিশের সাথে বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তির ধস্তাধস্তির একটি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে বলা হয়, রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি এলাকায় আসামী ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে মারধরের শিকার হন কালুখালি থানার এসআই আশিকুর রহমান। দেখুন পোস্টটির স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টটি বিভ্রান্তিকর। প্রথমত, যে ভিডিওটি দেখিয়ে রাজবাড়িতে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের দাবি করা হয় সেটি পুরোনো। বিভিন্নভাবে সার্চ করে এই ভিডিওটি ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট প্রকাশিত মূলধারার গণমাধ্যমের একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া গেছে। দেখুন যমুনা টিভিতে প্রচারিত এ সংক্রান্ত একটি খবরের ভিডিও'র স্ক্রিনশট--
প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
যমুনা টিভিতে প্রচারিত ওই সচিত্র প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবছরের ১৫ আগস্ট রাজবাড়ির কালুখালিতে 'রবিউল বিশ্বাস' নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে গ্রামবাসীর। এছাড়া পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিতে প্রচারিত আরেকটি খবরেও একই বর্ণনাসহ সেই ভিডিওটি পাওয়া গেছে। দেখুন এখানে।
এছাড়া, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন ভার্সনেও ছবিসহ এক সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেখুন সেই প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট--
অপরদিকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, সম্প্রতি রাজবাড়ি এলাকার বালিয়াকান্দি থানার সোনাপুর বাজারে আসামি ধরতে গিয়ে আহত হয়েছেন, কালুখালি থানার এসআই আশিকুর রহমান। গত ২৬ জুন একাধিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন স্ক্রিনশট--
নিউজবাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনমতে, 'সবুজ মোল্লা' নামের ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে ওয়ারেন্ট দেখাতে না পারায় মারধরের শিকার হন সেই পুলিশ কর্মকর্তা। অর্থাৎ ঘটনা দুটি রাজবাড়ি এলাকার হলেও দুটি ভিন্ন সময়ের এবং ভিন্ন প্রেক্ষাপটের।
অর্থাৎ সম্প্রতি পুলিশের এক এসআইকে মারধরের ঘটনার সাথে ২০২০ সালের একটি ভিডিও মিলিয়ে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।