ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিডিওটি সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সংশ্লিষ্ট নয়, সংবাদমাধ্যম বলছে এটি নামিবিয়ার ঘটনা।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওটি সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের। দেখুন এমন দুটি ভিডিও'র লিংক এখানে এবং এখানে।
গত ১৮ ডিসেম্বর 'Prince Shuab' নামের আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটিতে দৃশ্যত ন্যাড়া মাথার এক ব্যক্তিকে বেশ কিছু লোক মিলে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করতে দেখা যায়। ভিডিওটির চারপাশে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহ বিছার আল্লাহ করেন মুরাদ টাকলা জানে মার দিল'। অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওটি ডা. মুরাদ হাসানের সাথে সম্পর্কিত। দেখুন পোস্টের স্ক্রিনশট--
আরেকটি পোস্টের স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটি পুরোনো এবং ভিন্ন ঘটনার। কিওয়ার্ড সার্চিং এবং ইনভিড টুলস ব্যবহার করে ভিডিওটি একাধিক উৎসে পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি 'Petrol Attendant beat up a man' শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ১ মিনিটের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি লাঠি দিয়ে এক ব্যক্তিকে প্রহার করছে। দেখুন--
ভিডিওটি দেখুন এখানে। 'Town press SA' নামক ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়।
পরবর্তীতে ২০২০ সালেও ভিডিওটি আপলোড করা হয় 'iReport South Africa News' নামক আরেকটি চ্যানেলে। ভিডিওটি দেখুন এখানে।
এছাড়া এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া গেছে। 'দ্য সিটিজেন' নামের আফ্রিকা-ভিত্তিক এক সংবাদমাধ্যমে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারী আলোচ্য ভিডিওটি সহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেখুন--
খবরটিতে বলা হয়, নামিবিয়ার একটি পেট্রোল পাম্পে তেল নিয়ে দাম পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর আক্রমন করে পাম্পের কর্মীরা। পড়ুন এখানে।
এদিকে এরইমধ্যে ভিডিওটিকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করে একটি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্যাক্টওয়াচ। পড়ুন এখানে।
অর্থাৎ নামিবিয়ার একটি পুরনো ভিডিওকে ডা. মুরাদ হাসানের সাথে মিলিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।