ঢাবি ছাত্র নাজমুলের চা বিক্রির খবরটি পুরোনো
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ঢাবির তৎকালীন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেনের পড়াশোনার পাশাপাশি চা বিক্রির খবরটি ২০১৮ সালের।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি খবর শেয়ার করে বলা হচ্ছে, রাতে চা বিক্রি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। দেখুন এমন দুটি পোস্টের লিংক এখানে এবং এখানে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি 'Worthy Talks' নামের ফেসবুক পেজ থেকে একটি খবর শেয়ার করা হয় যার শিরোনাম ছিল, 'দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, রাতে চা বিক্রি!'। ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত এই খবরটির বিস্তারিত অংশে বলা হয়, নাজমুল হোসেন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে চা বিক্রি করেন। চা বিক্রির এই উপার্জনেই নাজমুল নিজে চলেন, সহায়তা করেন পরিবারকে। দেখুন পোস্টটির স্ক্রিনশট--
খবরটির বিস্তারিত অংশের স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেনের পড়াশোনার পাশাপাশি চা বিক্রির খবরটি পুরোনো। একাধিক উৎসে খবরটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনে 'দিনে ক্লাস, রাতে চা বিক্রি' শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, মো. নাজমুল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই তিনি চা বিক্রি করেন। দেখুন--
সেখানে আরো বলা হয়, ওই ছাত্রের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের এক নিভৃত গ্রামে। তবে এখন আর সেই বসতভিটা নেই। ২০১২ সালে নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ভিটাবাড়ি। মূলত দৈনিক প্রথম আলোর খবরটি হুবহু কপি করে আলোচ্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া ২০১৮ সালের ২০ জুন একই খবর প্রকাশ করে যমুনা টিভি অনলাইন যার শিরোনাম ছিল, রাতে চা বিক্রি করে নিজের পড়ালেখার খরচ যোগান নাজমুল। দেখুন--
অর্থাৎ ২০১৮ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের চা বিক্রির খবর হুবহু কপি করে ২০২২ সালে নতুন করে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।